কুড়িগ্রামে বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকতে থাকতে চলে যাচ্ছে আমন রোপণের মৌসুম। চারার বয়স বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন কৃষকদের অনেকেই আমন রোপণে সেচযন্ত্রের ব্যবহার শুরু করেছেন। রোদের কবল থেকে চারা বাঁচাতে দফায় দফায় সেচ দিতে হচ্ছে। আর এতে বেড়ে যাচ্ছে ফসলের উৎপাদন খরচ।
গত কয়েকদিনে জেলায় সামান্য পরিমাণে বৃষ্টি হলেও তাতে কোনো উপকার হয়নি। রোপন বিলম্বিত হওয়ায় ছত্রাক ধরে নষ্ট হচ্ছে বীজতলা। বাড়তি খরচে সেচ দেওয়ার সঙ্গতি নেই যাদের; সে সব ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীরা পড়েছেন সবচেয়ে বিপাকে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো: মঞ্জুরুল হক জানান, মধ্য আগষ্ট পর্যন্ত চারা রোপনের সময় থাকলেও চারার বয়স বেড়ে ফলন কম হবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই কৃষকদের সম্পূরক সেচ দিয়ে চারা রোপনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, জেলায় এ পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক গভীর নলকূপসহ প্রায় সকল সেচ পাম্প চালু করা হয়েছে।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সুত্রে জানা গেছে, গত বছর জুলাই মাসে ৮৮৬ মি.মি.বৃষ্টি হয়েছিল, অথচ এ বছর জুলাই মাস প্রায় শেষ। বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ১৮২ মি.মি.। বৃষ্টি না হওয়ায় একরের পর একর জমি চাষের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তীব্র হচ্ছে অক্সিজেন সংকট
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, জেলায় এ বছর আমন চাষের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার হেক্টর। এরমধ্যে ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে ইতোমধ্যে চারা রোপণের কাজ শেষ করেছে কৃষকরা। এর ৮০ ভাগই সেচের সাহায্যে রোপণ করা।
কৃষকরা জানান, সেচ দিয়ে চারা লাগানোর পরেও তীব্র খরায় জমি ফেটে যাচ্ছে। তাই দফায় দফায় সেচ দিতে হচ্ছে। এতে খরচ পড়ছে বেশি। অনেক এলাকায় সেচযন্ত্র চালু না থাকায় কৃষকরা পড়েছেন বিপাকে। কয়েকদিন থেকে যে সামান্য পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে তাও কোনো কাজে আসছে না। এমনকি জমির মাটিও ভিজছে না।
একাত্তর/আরবিএস