চাকরির আশায় না থেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের পর রাজিয়া বেগম এখন নিজেই একজন সফল উদ্যোক্তা। নিজ বাড়িতে গড়ে তুলেছেন জৈব সারের কারখানা ৷ একাজে শুধু রাজিয়া নিজেই নয়, সাথে আরও দশ জন পেয়েছে রোজগারের পথ।
কেঁচো দিয়ে তার উদ্ভাবিত ভার্মি কম্পোস্ট সার এখন এলাকাজুড়ে পরিচিত। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ জৈব সার কৃষি কাজে ব্যাপক অবদান রাখতে পারবে বলে মনে করেন রাজিয়া সুলতানা।
গত বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতকোত্তর পাস করার পর করোনা মহামারি শুরু হলে বগুড়ার শিবগঞ্জে নিজ বাড়িতে আসেন রাজিয়া৷ পরিবারে কর্মক্ষম কেউ না থাকায় নিজেই ধরেন সংসারের হাল৷ শুরু করেন কেঁচো চাষ করে ভার্মি কম্পোস্ট জৈব সার তৈরি। বর্তমানে বিপণনও শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন: গর্ভবতীর দেহে ফাইজার ও মডার্না টিকার ভালো ফল, গবেষণা
আরও পড়ুন: ভালো চোখ নিয়ে জন্মের পর অন্ধ হয়ে গেছে চার ভাই!
একাজে শুধুই রাজিয়া একাই স্বাবলম্বী হচ্ছেন না, তার সাথে আরো দশ জনকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলছেন তিনি। তার দেখানো পথ ধরে আশপাশের অনেকেই এখন রোজগারের পথ পেয়েছেন।
শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আল মুজাহিদ বলেন, রাজিয়ার এমন জৈব সার তৈরির উদ্যোগ কৃষির জন্য যুগোপযোগী ভূমিকা রাখবে। একাজে সরকারি পৃষ্ঠোপোষকতা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
জানা যায়, গত ৬ মাসে রাজিয়া ভার্মি কমপোষ্ট সার বিক্রি করেছেন প্রায় ৩০ হাজার টাকার।
একাত্তর/আরএইচ