কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে নেই কোন কোলাহল। ঢেউগুলো গর্জন করে তীরে আচড়ে পড়লেও তা নিরবেই মিলিয়ে যাচ্ছে বালুকাবেলায়। মেঘের বুক চিড়ে সূর্য উঁকি দিলেও তা আবির না ছড়িয়ে সাগরেই অস্ত যাচ্ছে প্রকৃতির নিয়মে।
সৈকতের বালুকাবেলায় পর্যটকদের নেই কোন আনাগোনা। তাই বালুর বুক চিড়ে বেড়ে উঠছে নতুন পত্রপল্লব, সহজেই। গঙ্গালতারাও ডানা ছড়িয়ে ঢেকে দিচ্ছে বালুর ঢিবিগুলো। সাগরের জোয়ারে বালুতে সাদা কার্পেটের মতো বিছিয়ে যাচ্ছে সাদা ঝিনুক।
প্রকৃতি এই বর্ষায় সৈকতের চিরচেনা রুপের পরিবর্তন নিয়ে আসলেও তা দেখার কেউ নেই।
আরও পড়ুন: সিনেমার আড়ালে অবৈধ ব্যবসা করতেন পরীমনি: ডিবি
টানা বিধিনিষেধের কারণে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় কুয়াকাটা এখন পর্যটকশূণ্য। সৈকতে দাঁড়িয়ে কিছু মাছ ধরা ট্রলারকে দূর সাগরে ঢেউয়ের সাথে দোল খেতে দেখা ছাড়া সৈকতে নেই আর কোন হৈ-হুল্লোর।
অথচ এই বর্ষা মৌসুমে কুয়াকাটা সৈকত থাকতো পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত। কিন্তু করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বছরের মতো এবারও কুয়াকাটা সৈকত নিষেধাজ্ঞার বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে আছে।
এদিকে পর্যটক না থাকায় কুয়াকাটার ব্যবসা বাণিজ্যে চরম স্থবিরতা নেমে এসেছে। অথচ কুয়াকাটার পর্যটন ব্যবসায়ীদের সহায়তায় এখন পর্যন্ত নেই কোন সরকারি পদক্ষেপ।
এদিকে কুয়াকাটার পর্যটন ব্যবসায়ীরা আগামী ১০ আগষ্টের পর থেকে দেশের পর্যটন স্পটগুলো খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
একাত্তর/আরএইচ