পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে ভেসেছে একটি মৃত ডলফিন। শনিবার (৭ আগস্ট) শেষ বিকেলে সাগরের জোয়ারে ডলফিনটি ভেসে এসে সৈকতের পশ্চিমের ব্লক পয়েন্টের বালুচরে আটকে পড়ে।
প্রায় সাত ফুট লম্বা মৃত ডলফিনটির ঠোট থেকে তাজা রক্ত ঝরছিলো। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, হয়তো কয়েক ঘণ্টা আগেই ডলফিনটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। সাগরে মাছ শিকার করা জেলেদের জালে ধরা পড়া মাছ খেতে আসলে প্রায়ই জেলেরা ট্রলারে থাকা বাঁশ বা ভারি বস্তু দিয়ে আঘাত করে শুশুক প্রজাতির এ ডলফিন পিটিয়ে মেরে ফেলে।
এদিকে, সৈকতে ডলফিন ভেসে আসার খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই স্থানীয় জেলেরা সেটি উদ্ধার করে সৈকতের বালু খুড়ে সেটি চাপা দিয়ে দেয়। এ কারণে মৃত ডলফিনটি কোন প্রজাতির এবং সেটির মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী জেলে আব্দুল গফুর জানান, সাগর তীর থেকে হেঁটে যাওয়ার পথে ডলফিনটি সৈকতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে এটি পচে দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে তাই স্থানীয়রা সাগর তীরে সেটি বালু চাপা দেয়।
আরও পড়ুন: ভিমরুলের কামড়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু!
গত কয়েক বছর ধরে কুয়াকাটা সৈকতে একাধিক মৃত ডলফিন, তিমি ও বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির কচ্ছপ সাগরের জোয়ারে ভেসে আসছে। তবে এগুলো মৃত্যুর সঠিক কারণ কখনোই জানা যায়নি। এমনকি, এ জলজ প্রাণীগুলো কারা কি কারণে মেরে ফেলছে তার হয়নি কোন তদন্ত। দেয়া হয়নি অভিযুক্তদের শাস্তি। এ কারণে গভীর সমুদ্রে জেলেদের জালে আটকা পড়লেই ডলফিনগুলো মেরে ফেলা হচ্ছে।
কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ডলফিন শিকার এবং বিক্রি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। শুশুক প্রজাতির ডলফিনটি শনিবার কোন এক সময় জেলেদের জালে আটকা পড়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ধরনের ডলফিন সাধারণত সমুদ্রের ছোট মাছ খেয়ে বেঁচে থাকে। তবে এগুলো যাতে মেরে ফেলে না হয় এজন্য জেলেদের সচেতন করা হচ্ছে।