নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নিখোঁজের ৮ ঘণ্টা পর এক কিশোরের মাথায় গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেইসাথে হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে দুই জনকে আটক করা হয়েছে।
নিহত মো.রাশেদ (১৭) উপজেলার ৪নং আলাইয়াপুর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের আলাইয়াপুর গ্রামের শেয়ার বাড়ি তাজুল ইসলামের ছেলে।
রোববার (৮ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে পুলিশ আলাইয়াপুর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের হরিবল্লপুর গ্রামের অয়েদ আলী ভূঞা বাড়ির পশ্চিমে বাগান থেকে গুলিবিদ্ধ এ কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের মা পূর্ণিমা বেগম ও চাচাতো ভাই আনোয়ার জানান, রাশেদ ঢাকায় নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করত। লকডাউনের কারণে কিছু দিন আগে বাড়িতে আসে। গত ৫-৬দিন আগে একদিন রাতে নিহত রাশেদের সাথে একই বাড়ির বেচু মিয়ার ছেলে রুবেলের (৩০) সাথে বাড়ির সামনের রাস্তায় চোখে টর্চ লাইটের আলো পড়াকে কেন্দ্র করে তার ঝগড়া বেধে যায়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রুবেলের সহযোগীরা রাশেদকে তিন দফায় বেধড়ক মারধর করে। পরে এ ঘটনায় তার পরিবার বেগমগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্তে আসে। পুলিশ তদন্তে আসায় তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: করোনাকালে মাদ্রাসা খোলা, তালাবন্দি করে ছাত্রদের শাস্তি!
এবার রুবেলের সহযোগী শাকিল, সুজন, আকবর, মারুফ, মঞ্জুসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা রাশেদের চাচা লোকমান হোসেনকে মারধর করে। সন্ত্রাসীরা রাশেদের চাচা লোকমানকে শাসিয়ে বলে, 'থানায় অভিযোগ করেছ আমাদের বিরুদ্ধে? এখন আমাদের মামলা চালানোর খরচের টাকা দাও।'
এরপর শনিবার (৭ আগস্ট) রাত ১০টা থেকে নিখোঁজ ছিল নিহত রাশেদ। পরে সকাল ৬টার দিকে বাড়ি থেকে আনুমানিক পৌনে দুই কিলোমিটার দূরে অয়েদ আলী ভূঞা বাড়ির পশ্চিমে বাগানে তার মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয় এলাকাবাসী।
নিহতের পরিবার দাবি করেন, থানায় লিখিত অভিযোগ করায় একই বাড়ির বখাটে রুবেলের অস্ত্রধারী সাঙ্গপাঙ্গরাই রাশেদকে ধরে নিয়ে মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে। এসব খুনিদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রয়েছেন স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। রাশেদকে শনিবার দিবাগত রাতের যে কোন এক সময়ে মাথায় গুলি করে হত্যা করে মরদেহ একটি বাগানে ফেলে দেয় খুনিরা। ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।