পটুয়াখালী শহরের চরপাড়ায় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজনের সাথে ধস্তাধস্তিতে মো: মাকসুদ নামে ৫০ বছরের এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের বরাতে জানা যায়, লোকটি মাদক কারবারি ছিলেন। আগামীকাল মরদেহের ময়না তদন্ত করা হবে।
এখন পর্যন্ত পরিবার থেকে কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিভাগের লোকজনের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়, এমন খবর ছড়িয়ে যায় শহরে।
জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী উপ-পরিদর্শক মো: জসিম উদ্দিন জানান, তার নেতৃত্বে সেপাই তারেক শাহরিয়ার ও ওয়ারলেস অপারেটর মাহমুদ তিন সদস্যের একটি টিম গোপন সংবাদের মাধ্যমে চরপাড়া স্বনির্ভর সড়কে মাকসুদকে গ্রেপ্তার করতে যান। তাদের দেখে সেই ব্যক্তি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া করে আটকের সময় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে সে অসুস্থ হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এরপর তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী উপ-পরিদর্শকের দাবি, মাকসুদ একজন মাদককারবারি ও ইয়াবা সেবনকারী ছিলেন। তাকে কোন নির্যাতন করা হয়নি।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার নুরুন্নাহার স্মৃতি জানান, সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় মাকসুদ নামে ব্যক্তি যখন নিয়ে আসা হয় তখন সে মৃত ছিলো। তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন ছিলনা, তবে দুই হাতের কব্জিতে দাগ ছিলো।
খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকতার মোর্শেদ। তিনি একাত্তরকে জানান, মাদক মামলার এক আসামীকে ধরতে গিয়ে তাদের সাথে ওই ব্যক্তির ধস্তাধস্তির সময় মৃত্যুর খবর পেয়েছি। মাদক বিভাগ ও পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলার পর বিস্তারিত বলা যাবে। এখানে ফৌজদারী কোন অপরাধ হলে তদন্তপূর্বক পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের পর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
একাত্তর/এআর