ময়মনসিংহে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন। সাধারণ মানুষ বলছেন, কঠোর বিধি-নিষেধের কারণে দোকানপাট ও বাণিজ্যিক মার্কেট বন্ধ থাকার পরও কমছেনা দুর্ভোগ।
এ নিয়ে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা বলছেন, বিদ্যুৎ বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তাদের অদক্ষতার ও গাফিলতির কারণেই এই ভোগান্তি।
কঠোর বিধি-নিষেধে বন্ধ দোকানপাট ও বাণিজ্যিক মার্কেট। তারপরও দিনের বেশিরভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকছে না ময়মনসিংহ শহরে।
এতে প্রচণ্ড গরমে নাভিশ্বাস ওঠার মতো অবস্থা শহরবাসীর। এতে তো ঘরবন্দি জীবন, অন্যদিক লোডশেডিংয়ে অসহনীয় হয়ে উঠছে পরিস্থিতি।
ভুক্তভোগীরা জানান, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণ অজানা। বিষয়টি সমাধানে বিদ্যুৎ অফিসে জানানো হয়েছিলো। কিন্তু বন্ধ হয়নি লোডশেডিং।
তারা আরো জানান, লোডশেডিংয়ের কারণে বিদ্যুতের ব্যবহার কমলেও, বিলে লেখা টাকার পরিমাণ কিন্তু কমেনি।
এনিয়ে পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল হক জানান, এটি লোডশেডিং নয়। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যাওয়া ও পুরনো ট্রান্সফরমার মেরামতসহ উন্নয়ন কাজ চলায় এই পরিস্থিতি।
অন্যদিকে, একেবারে উল্টো পথে হাঁটলেন পিডিবির প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কম থাকায় লোডশেডিং হচ্ছে।
ময়মনসিংহ জেলার চার লাখ গ্রাহকের জন্য বিদ্যুতের চাহিদা ২২০ থেকে ২৩০ মেগা ওয়াট।
একাত্তর/এআর