বুধবার থেকে শিখিল হচ্ছে কঠোর বিধিনিষেধ। চলবে বাস-লঞ্চ-ট্রেন। কিন্তু,
তার আগেই সারাদেশের সড়কে ও ঘাটে নেমেছে মানুষের ঢল।
নিয়মিত পরিবহন ফিরে আসবে, তাই ছোট যানবাহন শেষ সুযোগ কাজে লাগাতে মরিয়া হয়ে নেমেছে সড়কে। যেভাবে পারছে যাত্রী টানছে। ছুটে চলছে অবিরত।
তবে, বড় বাস বন্ধ থাকায় যাত্রাপথে দুর্ভোগ কিন্তু কমেনি। আগের কয়েকটা দিনের মতোই মঙ্গলবারও দুর্ভোগ মাথায় নিয়েই রাজধানীমুখী হয়েছেন কর্মজীবি মানুষরা। ঢাকায় আসতে প্রত্যেকের খরচ হয়েছে দুই থেকে তিনগুণ বেশি।
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে মঙ্গলবার সকাল থেকেই ছিলো প্রচণ্ড ভিড়। নয়টি ফেরি চললেও, দুটি ফেরি ওয়ার্কশপে নিয়ে যাওয়ায়, শেষ পর্যন্ত সাতটি ফেরি দিয়ে পারাপার করা হয়।
লঞ্চ ও স্পিডবোট এখনো বন্ধ থাকায় যাত্রী বোঝাই করেই ফেরি ছাড়তে হচ্ছে। ফলে বাড়ছে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা পণ্যবাহী গাড়ির সংখ্যা।
আরও পড়ুন: নারীকে ব্যবহার করে অপহরণ চক্র!
তবে উল্টো চিত্র ছিলো পাটুরিয়া ফেরিঘাটে। ঢাকামুখী মানুষের চাপ অপেক্ষাকৃত কম ছিল এই পথে। যারা ঘাটে এসেছেন অনেকটা নির্বিঘ্নেই পার হতে পেরেছেন তারা।
ফেরি কর্তৃপক্ষ জানায়, জরুরি পরিষেবা ও পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারের জন্য ১২টি ফেরি চলাচল করছে। বুধবার থেকে আবারও চাপ বাড়বে বলে আশঙ্কা তাদের।
গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবাধে চলছে সিএনজি অটোরিকশা, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, ইজিবাইকসহ নানা ধরনের হালকা যানবাহন।
চান্দনা চৌরাস্তা থেকে ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণাসহ বিভিন্ন জেলায় অবাধে সিএনজি অটোরিকশায় আসা যাওয়া করে লোকজন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস চলাচল হাতেগোনা হলেও সিএনজি অটোরিক্সায় করে মানুষ চলাচল করে স্বাভাবিকভাবেই।
একাত্তর/জো