টানা ১৯ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের পর সারাদেশে আজ থেকে শুরু হয়েছে লঞ্চ চলাচল। পটুয়াখালীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকার দিকে ছুটেছে মানুষ। প্রতিটি লঞ্চে ছিল উপচে পড়া ভিড়। মানা হয়নি কোনো স্বাস্থ্যবিধি।
বুধবার (১১ আগস্ট) বিকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ১২টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে।
এসব মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক থাকলেও অনেকের মুখেই তা ছিলনা। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে যাত্রী বেশি থাকায় ধারন ক্ষমতার দ্বিগুন যাত্রী বহন করতে দেখা যায় প্রতিটি লঞ্চে। ঘাটে ছিলনা প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারী। এ অবস্থায় করোনা পরিস্থিতি নতুন করে অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পটুয়াখালী নদী বন্দরের ট্রাফিক পরিদর্শক মো: জহিরুল ইসলাম জানান, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আজ ঢাকার উদ্দেশ্যে ১২টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে পটুয়াখালী নদী বন্দর থেকে চারটি, বাউফলের কালাইয়া বন্দর থেকে তিনটি, গলাচিপা থেকে দুইটি, কলাপাড়া থেকে একটি, রাঙ্গাবালীর বাহেরচর থেকে একটি ও মির্জাগঞ্জের পায়রাকুঞ্জ থেকে একটি।
আরও পড়ুন: সকাল হলেই বগুড়া-জামালপুর ফেরি চলাচল শুরু
জেলা শহরের বাইরের নদী বন্দরের লঞ্চগুলো দুপুরে ছেড়ে গেলেও পটুয়াখালী নদী বন্দরের চারটি ছেড়ে যায় সাড়ে চারটা থেকে সোয়া পাঁচটার মধ্যে। এসব লঞ্চে বগা ও চরগরবদী ঘাট থেকে আরও দুই শতাধিক করে যাত্রী উঠতে দেখা যায়।
পটুয়াখালী নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক মহিউদ্দিন খান জানান, আমরা চেষ্টা করেছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীদের লঞ্চে প্রবেশ করাতে। কিন্তু যাত্রী চাপ বেশি থাকায় তা কিছুটা ব্যাহত হয়।
এদিকে আজ ঘাটে দেখা যায়নি জেলা প্রশাসনের কোনো প্রতিনিধিকে, ছিলনা ভ্রাম্যমান আদালতের কোনো তৎপরতা। পুলিশের লোকজনও যারা ছিলেন তাদেরও ছিলনা করোনা সুরক্ষায় কোন তৎপরতা।
একাত্তর/আরবিএস