টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা. মহীউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে ওই হাসপাতালের এক নারী বাবুর্চি (কুক) শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছেন।
এছাড়াও ওই বাবুর্চির ভাগ্নিকেও কু-প্রস্তাবসহ হাসপাতালে পরিছন্নতাকর্মী হিসেবে চাকরি দেয়ার কথা বলে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার লিখিত অভিযোগ করেছেন নারী বাবুর্চি শিল্পী বেগম।
অভিযোগে জানা গেছে, ভূঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা. মো. মহীউদ্দিন হাসপাতালের বাবুর্চি (কুক) ওই নারীসহ তার ভাগ্নিকে হাসপাতালের তার (টিএইচও) কোয়ার্টারে যেতে বলেন। পরে ওই বাবুর্চি ও তার ভাগ্নি স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কোয়াটারে গেলে তাদের দুইজনকেই কু-প্রস্তাব দেয় অভিযুক্ত।
অভিযোগ, ওই চিকিৎসের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তিনি ওই বাবুর্চিকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন এবং মারধোর করেন। পরে ওই নারীর গলায় ফাঁস লাগাতে যান অভিযুক্ত। এসময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে।
ভূঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাবুর্চি (কুক) মোছা. শিল্পী বেগম বলেন, মহীউদ্দিনের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক, জেলা সিভিল সার্জন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তিনি চাকরি দেয়ার নামে দু’দফায় দেড় লাখ টাকা নিয়েছেন। সর্বশেষ আমাকে ও আমার ভাগ্নিকে কুপ্রস্তাব দিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, অভিযোগ অস্বীকার করে ভূঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহীউদ্দিন বলেন, কে বা কার প্ররোচনায় তিনি এ অভিযোগ করেছেন, সেটি আমি জানি না। এটি বানোয়াট।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. ইশরাত জাহান বলেন, যেহেতু ঘটনাটি স্পর্শকাতর। তাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওই অভিযোগপত্র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠিয়েছি।
আরও পড়ুন: জামালপুরে সমিতির কিস্তি দিতে না পারলে জরিমানা ও মারধর
জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহবুদ্দিন খান বলেন, ভূঞাপুর হাসপাতালের বাবুর্চি (কুক) -এর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা সিভিল সার্জনকে বলা হয়েছে।
একাত্তর/আরএ