ফেরিতে উঠতে গিয়ে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে পদ্মায় পড়ে গিয়ে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন এক গৃহবধূ ও তার ৪ বছরের শিশু সন্তান। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মনির হোসেন নামের এক ফেরির স্টাফ শিশুটিকে উদ্ধার করেন।
পরবর্তীতে লাফিয়ে পদ্মায় নেমে গৃহবধূকে উদ্ধার করেন তার স্বামী। শুক্রবার (১৩ আগস্ট) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
ঝাঁপিয়ে পড়া ওই গৃহবধূর নাম রোকসানা ইয়াসমিন (২৯)। তিনি মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার কুশাইসাপুর গ্রামের হাসানুজ্জামানের স্ত্রী। তার শিশু সন্তানের নাম সোহরাব হোসেন (৪)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওই গৃহবধূ আজ সকাল ৯টার দিকে স্বামীর সাথে দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে নদী পারি দিয়ে ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে আমানত শাহ ফেরিতে উঠছিলেন। তার স্বামী ফেরিতে উঠে গেলেও তিনি একটু পেছনে পড়ে যান। এসময় ফেরি থেকে একটি বাস নামছিল। বাসটি নামার সময় তাদেরকে চাপ দিলে জীবন রক্ষায় ওই গৃহবধূ পাশে যেতে যেতে তার শিশু সন্তানসহ পদ্মায় পড়ে যান। পদ্মার তীব্র স্রোত তাদেরকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো। এসময় সেখানে কর্মরত ফেরির স্টাফ মনির হোসেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করতে লাফিয়ে পড়েন। তিনি শিশুটিকে উদ্ধার করতে পারলেও ওই গৃহবধূ ভেসে যেতে শুরু করে। পরে ওই নারীর স্বামী ফেরি থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে অন্যান্যদের সহযোগিতায় স্ত্রীকে উদ্ধার করেন।
গৃহবধূর স্বামী হাসানুজ্জামান জানান, তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানীতে চাকরি করেন। তার স্ত্রী সন্তান রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুরে বাবার বাড়িতে ছিলো। তাদের নিয়ে শুক্রবার ঢাকায় যাচ্ছিলেন। এসময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ফেরির স্টাফ মনির হোসেন জানান, তিনি পল্টুনে ফেরির টিকিট পরীক্ষা করছিলেন। এসময় হঠাৎ ওই গৃহবধূ ও শিশুটিকে নদীতে পড়ে যেতে দেখে তাদের উদ্ধার করতে তিনি নদীতে ঝাঁপ দেন। কিন্তু তীব্র স্রোতের কারণে শিশুটিকে উদ্ধার করতে পারলেও গৃহবধূ ভেসে যায়। পরবর্তীতে তাকে তার স্বামী উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন: ‘পদ্মা সেতুতে ধাক্কার ঘটনা ষড়যন্ত্র কিনা তদন্ত করে দেখা হবে’
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যাবস্থাপক মোঃ জামাল হোসেন জানান, দীর্ঘদিন পর গণপরিবহন চলাচল শুরু করায় এগুলো কিছুটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা দ্রুত গন্তব্যে যেতে হুরোহুরি করে ফেরি থেকে নামতে গিয়ে ওই ঘটনাটি ঘটেছে। এই নৌরুটে বর্তমানে ১৩টি ফেরি দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে।
একাত্তর/আরএ