পটুয়াখালীর কলাপাড়ার টিয়াখালী ইউনিয়নের টিয়াখালী বাজারে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে কলেজ ছাত্র ইয়াকুব হাওলাদারকে(২০) কুপিয়ে জখম করে তার বাম হাতের তিনটি আঙ্গুল কেটে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে মামাতো ভাই রাকিব মোল্লাকেও(২০) কুপিয়ে জখম করে।
রোববার (১৫ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে এ হামলায় রক্তাক্ত জখম দুইজনকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি ঘটায় ইয়াকুবকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
এ হামলার জন্য টিয়াখালীর খোকন প্যাদা, রসুল প্যাদা ও জাকারসহ আট-দশ জন সন্ত্রাসী জড়িত বলে আহত রাকিবের পিতা সবুজ মোল্লা দাবি করেন। তার দাবি, পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
তিনি জানান, রোববার সকালে দুই আপন মামাতো-ফুফাতো ভাই ইয়াকুব ও রাকিব কলাপাড়া সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে কলেজে যায়। তারা ভর্তি ফরম পূরণ করে মোটরসাইকেলে যোগে লোন্দা গ্রামে যাওয়ার পথে টিয়াখালী বাজার এলাকায় পৌছলে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে তাদের উপর অতর্কিত হামলা করে সন্ত্রাসীরা।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে মাইক্রোবাস ডোবায়, শিশুসহ নিহত ৭
এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা ইয়াকুবের বাম হাতের তিনটি আঙ্গুলই কেটে ফেলে। কুপিয়ে জখম করে রাকিবকে। এ সময় স্থানীয় গ্রামবাসী এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক তাদের উদ্ধার করে গ্রামবাসীরা কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করে।
কলাপাড়া হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ মাইনুল হোসেন জানান, হামলায় ইয়াকুবের বাম হাতের মধ্যমা ও তর্জনি আঙ্গুল কেটে যায় ও চামড়ার সাথে ঝুলে রয়েছে অনামিকা আঙ্গুলটি। এছাড়া শরীরে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল রেফার করা হয়েছে। অপর আহত রাকিব মোল্লার পিঠে জখম হয়েছে। তাকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, হামলার খবর পাওয়ার পরই পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় এখনও থানায় মামলা হয়নি বলে তিনি জানান।
একাত্তর/এসজে