অটোরিকশার দাপটে লক্ষ্মীপুর শহরের যানজট চরম আকার ধারণ করেছে। এতে ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ মানুষের।
এমন সংকটজনক পরিস্থিতে যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ কাজ করলেও নিয়ন্ত্রণ নেই তীব্র যানজটে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাকেও দায়ী করছেন ভুক্তভোগীরা। পুলিশ সুপার বলছেন, যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে লকডাউন থাকায় লক্ষ্মীপুর পৌর শহর যানজট মুক্ত ছিলো। বর্তমানে লকডাউন শিথিল করায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যানজট লেগেই থাকে শহরে। শহরের প্রধান সড়কের কিছু দূর পরপর দেখা যাচ্ছে তীব্র যানজট। এক লেন সড়কে চলাচল করছে প্রায় ১০ হাজার অটোরিকশা। লক্ষ্মীপুর পৌর শহরে বৃহস্পতিবার ও রোববার হাটবার থাকায় গ্রাম অঞ্চল থেকে আসা অতিরিক্ত গাড়ীর চাপে যানজট ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। সাধারণ মানুষ ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে আটকে থেকে দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে। সিএনজি চালিত অটোরিকশার কারণে শহরের মাত্র দুই কিলোমিটার পথ যেতে সময় লাগে এক ঘণ্টার বেশি। পুলিশসহ পৌর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ না করায় যানজট সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করছে।
পুলিশ জানান, লক্ষ্মীপুর পৌর শহর অটোর শহর। এই শহরের মানুষের নাকাল অবস্থা অটোরিকশার কারণে। পুরো সড়ক দখলে নিয়েছে অটোরিকশা। এছাড়া ফুটপাতে হকারদের দৌরাত্ম্যের মধ্যেও ছোট-বড় গাড়ির যত্রতত্র পার্কিং ও প্রধান সড়কের দুই পাশে ভ্রাম্যমাণ দোকান, ফুটপাথে দোকান, মোড়ে মোড়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও অস্থায়ী স্ট্যান্ডের কারণে শহরটিতে যানজট স্থায়ী রূপ নিয়েছে। দিনের অধিকাংশ সময় যানজটের কারণে থমকে যায় মানুষের জীবন। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে লক্ষ্মীপুর শহরবাসী।
এদিকে শহরের যানজটের কথা স্বীকার করে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র আবু তাহের বলেন, অতিরিক্ত রিকশা, ইজিবাইক, মিশুকের কারণে যানজট বেড়েছে। এদের একটিরও লাইসেন্স নেই। তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে যানজট অনেকটা নিরসন হবে। এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতা আরো বৃদ্ধি করা দরকার।
একাত্তর/এআর