চলতি বর্ষায় পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসা মৃত ডলফিনদের আসলে জালে আটকে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কুয়াকাটা সৈকতে ৭ আগস্ট একটি ও ৯ আগস্ট দুটি মৃত ডলফিন ভেসে আসে। এর আগে গত ৯ মে একটি ও ১০ মে দুটি ডলফিন ভেসে আসে। এনিয়ে ছয়টি ডলফিন ভেসে আসে।
কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির কর্মীরা জানান, চলতি আগস্টেই সপ্তাহেও সৈকতে ভেসে এসেছে তিনটি ডলফিনের মৃতদেহ।
তারা জানান, সাগরে জেলেদের হাজালি বড়শি ও নিষিদ্ধ জালে মারা পড়ছে ডলফিনগুলো। এছাড়া ট্রলার অথবা জাহাজের ধাক্কায়ও মারা যাচ্ছে সাগরের বন্ধু ডলফিনরা।
এছাড়া রাক্ষুসে সামুদ্রিক প্রাণীর আক্রমণ, সামুদ্রিক দূষণ এবং প্রাকৃতিক কারণেও ডলফিনের মৃত্যু হতে পারে বলেও জানান তারা।
কমিটির সদস্যরা বলেন, ডলফিন সংরক্ষণে মৃত ডলফিনের ময়নাতদন্ত করা প্রয়োজন। কেননা ডলফিনের মৃত্যুর কারণ জানা গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া সহজ হবে।
গতবছর সমুদ্র সৈকতে বিভিন্ন সময় সাতটি ডলফিন এবং একটি তিমি ভেসে এসেছিল। তবে সবগুলো জলজ প্রাণীই ময়নাতদন্ত ছাড়া মাটি চাপা দেয়া হয়
তাই ডলফিন বাঁচাতে জেলেদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। প্রাণী বিশেষজ্ঞরা আরো জানান, ভেসে আসা ডলফিনগুলো হ্যাম্পব্যাক, বটলনোজ ডলফিন ও ইরাবতি প্রজাতির।
আর বন বিভাগ জানিয়েছে, ডলফিন কিংবা সামুদ্রিক প্রাণীর মৃত্যুর কারণ নির্ধারণে কুয়াকাটায় একটি গবেষণা কেন্দ্র এবং জাদুঘর স্থাপনের বিষয়ে একটি প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে।