পানি বাড়ছে যমুনা ও পদ্মায়। একই সঙ্গে বাড়ছে স্রোত। এরই মধ্যে প্রবল
স্রোতে বগুড়ায় বানিয়াজান স্পার বাঁধে ভাঙন শুরু হয়েছে।
যমুনার পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে সিরাজগঞ্জের নিচু এলাকা। একইভাবে পদ্মায় প্রবল ভাঙন শুরু হয়েছে রাজবাড়ির দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটে।
বগুড়ার ধুনট উপজেলার বানিয়াজানে যমুনা নদীর তীরের স্পার বাঁধে প্রথম ধস নামে ৫ আগস্ট। ধসে পড়ে ১৮ মিটার এলাকা।
এরপর ৯ আগস্ট আবারো ধসে যায় বাঁধের ১২ মিটার। আর সবশেষ গেলো ১৬ তারিখে ধসে পড়ে বাঁধের আরো ১৮ মিটার।
এরই মধ্যে ভাঙন আতঙ্কে পড়েছে বানিয়াজান, ভান্ডারবাড়ী, কয়াগাড়ী, পুকুরিয়াসহ ৩০টি গ্রামের মানুষ। তারা বলছেন, ভাঙনের কারণে তারা রাতে ঘুমাতেও পারেন না।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই স্পারটি যমুনা নদীর বুকে ডুবো চর জেগে ওঠায় পানির প্রবল স্রোতের আঘাতে ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, ধস ঠেকাতে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে। পানি কমা মাত্রই সংস্কার শুরু হবে।
তিনি জানান, বর্তমানে ভাঙন রোধে সাময়িক সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে যমুনা শাসনের নতুন একটি প্রকল্প অনুমোদন পেলে স্পারটি রক্ষায় স্থায়ী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২, এলাকায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ!
একইভাবে, সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে যমুনার পানি বেড়েছে ২৩ সেন্টিমিটার। এতে নিচু এলাকায় পানি চলে আসায় তলিয়ে গেছে নিচু এলাকা।
এদিকে পদ্মার পানি বাড়ায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে মঙ্গলবার মাঝরাত থেকে শুরু হয়েছে ভাঙন।
এরইমধ্যে ৩০ মিটার এলাকা নদীতে মিশে গেছে। যেকোনো সময় লঞ্চ চলাচল বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা করছেন যাত্রী ও শ্রমিকরা।
একাত্তর/আরবিএস