ভোলায় যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের বর্জ্য। প্রতিদিন হাসপাতালের করোনা আক্রান্ত রোগীদের জমানো বর্জ্যগুলো ভবনের তিনতলা থেকে জানালা দিয়ে নিচে ফেলা হচ্ছে। এতে করে হাসপাতালের নিচে ও ভবনের গ্রিলে আটকে থেকে দুর্গন্ধ তৈরি হচ্ছে।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে ময়লা অপসারণ না করায় ভবনের ভেতরে যেমন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে তেমনি হাসপাতালের নিচেও ময়লার স্তূপে পরিণত হয়েছে। এতে করে বর্জ্য থেকে করোনার ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।
ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, ওয়ার্ডের প্রতিটি ফ্লোরে যত্রতত্র ব্যবহৃত মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভসসহ বিভিন্ন আবর্জনা পড়ে রয়েছে। একই অবস্থা হাসপাতালের আইসিইউ ওয়ার্ডেও। হাসপাতালটির তৃতীয় তলায় আইসিইউ ওয়ার্ডের পাশ দিয়েই প্রতিদিন ময়লাগুলো উপর থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হয়। এতে করে ময়লাগুলো হাসপাতালের রেলিং ও জানালার গ্রিলে আটকে থেকে দুর্গন্ধ তৈরি হচ্ছে। ফলে সেখানে থাকা রোগীরা দুর্গন্ধের মধ্যেই দিন পার করছেন।
হাসপাতালের আইসিইউ ওয়ার্ডে থাকা এক রোগীর স্বজন জানান, গত দুই দিন ধরে কোনো ক্লিনার আইসিইউ রুম পরিষ্কার না করায় ভেতরে ময়লার স্তূপ জমে গেছে। আর পুরো হাসপাতালটিতে যেখানে-সেখানে ময়লা আবর্জনা পরে রয়েছে।
আরও পড়ুন: সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করতে পারবেন ১৮ বছরের শিক্ষার্থীরা
অপর রোগীর এক স্বজন জানান, করোনা ইউনিটে যে সকল পরিচ্ছন্ন-কর্মী রয়েছেন তারা ঠিকমত ময়লা পরিষ্কার না করায় পুরো হাসপাতালটি এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দুই-তিনদিন পর মাঝে মধ্যে যা পরিষ্কার করা হয় তাও ময়লাগুলো উপর থেকে ফেলার কারণে আটকে গিয়ে দুর্গন্ধ তৈরি হয়।
দীর্ঘদিন ময়লাগুলো এক জায়গায় থাকায় এ থেকে ডেঙ্গু ছড়ানোর আশঙ্কাও রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সিরাজ উদ্দিন জানান, এতোদিন ভবনের পেছনের জানালার গ্লাস খোলা থাকায় ময়লাগুলো উপর থেকে নিচে ফেলা হতো। গ্লাসগুলো এখন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শ্রমিকদের মাধ্যমে আগের ময়লাগুলোও পরিস্কার করা হচ্ছে। পরবর্তীতে ডাস্টবিন ছাড়া আর ময়লা না ফেলার জন্য নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
একাত্তর/আরএ