হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় এবার বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ২ মামলার আবেদন করেছেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের (বিসিসি) প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন এবং একই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী মো. বাবুল।
রোববার (২২ আগস্ট) অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে বতারা বাদি হয়ে ওই মামলা দুটির আবেদন করেন।
রফিকুল ইসলাম খোকন এবং মো. বাবুলর করা মামলার আবেদনে ইউএনও মুনিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিসিসির কাজে বাধাদান, বিনা উস্কানীতে বিসিসি’র কর্মচারীদের ওপর গুলিবর্ষণের নির্দেশ প্রদান, হামলা, গুলিতে একাধিক ব্যাক্তির অঙ্গহানী এবং ৩০/৪০ জনকে আহত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার আবেদনে ইউএনও ছাড়াও ১৮ আগস্ট রাতে তার বাসভবনে দায়িত্বরত আনসার সদস্যসহ আরও ৪০/৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
বাদির পক্ষে আইনজীবী হিসেবে আদালতে উপস্থিত থাকা বরিশাল আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. কাইয়ুম খান কায়সার জানান, আবেদনের শুনানি শেষে বিজ্ঞ বিচারক মাসুম বিল্লাহ সিদ্ধান্ত ঘোষণার জন্য রেখেছেন। তিনি সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর জানা যাবে যে মামলাটি গ্রহণ নাকি খারিজ করা হল।
উল্লেখ্য,গত বুধবার রাতে বরিশালে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে পাঁচজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন।
সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ দাবি করেন, এ সময় তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং আঘাতপ্রাপ্ত হন। আহতদের মধ্যে ৩ পুলিশ ও ২ আনসার সদস্য রয়েছেন।
আরও পড়ুন: করোনার টিকা পেতে সাড়ে ৩ কোটি নিবন্ধন, দেড় কোটি ডোজ গ্রহণ
ঘটনার প্রতিবাদে রাতেই নেতাকর্মীরা নগরীর রূপাতলী ও নথুল্লাবাদ টার্মিনাল এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে। একইসঙ্গে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বন্ধ করে দেয় অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লা রুটের লঞ্চ চলাচল। পরে প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠক শেষে দুপুর ১২টার পর বাস-লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে ইউএনওর বাসভবনে হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েকশ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। উভয় মামলায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক আব্দুল্লাহকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
একাত্তর/এসি