সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে কক্সবাজার কারাগার থেকে আসামিদের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আনা হয়।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ফরিদুল আলম জানিয়েছেন, মামলার ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জন সাক্ষীকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে, আদালতে হাজির থাকতে।
সাক্ষ্য গ্রহণের সময় মামলার ১৫ জন আসামিকেও আদালতে হাজির করা হয়। মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী নিহত সিনহার বড়বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসকে দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। তিনদিন চলবে এই সাক্ষ্য গ্রহণ।
ফরিদুল আলম আরও জানান, গত ২৬ জুলাই থেকে পরবর্তী তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের সময় নির্ধারিত ছিল। কিন্তু করোনার বিধিনিষেধ চলায় তা সম্ভব হয়নি।
সাক্ষীরা হলেন- শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস, সিনহার সঙ্গী সহিদুল ইসলাম সিফাত, টেকনাফের মিনাবাজার এলাকার মোহাম্মদ আলী, শামলাপুর এলাকার মো. আবদুল হামিদ, মো. ইউনুছ, ফিরোজ মাহমুদ, মহিবুল্লাহ, মো. আমিন, মো. কামাল হোসেন ও মো. শওকত আলী, রামু সেনানিবাসের সার্জেন্ট মো. আয়ুব আলী, সিনহার সঙ্গী শিপ্রা দেবনাথ, কক্সবাজার সদর হাসপাতালের দুই চিকিৎসক শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী ও রনধীর দেবনাথ এবং টেকনাফের বাহারছড়ার মারিষবুনিয়া গ্রামের হাফেজ জহিরুল ইসলাম
২০২০ সালের শামলাপুর চেকপোষ্টে কোরবানি ঈদের আগের সন্ধ্যায় অসংখ্য প্রত্যক্ষদর্শীর সামনে গত বছর ৩১ জুলাই এসআই লিয়াকতের গুলিতে নিহত হন অসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। তিনিসহ চারজনের একটি দল তার আগের এক মাস ধরে ছিলেন মেরিন ড্রাইভের নিলীমা রিসোর্টে।
একাত্তর/ এনএ