নাটোরে টাকার লোভে মামার হাতে অপহৃত ভাগ্নেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গত ২১ আগস্ট নাটোর থেকে অপহৃত শিশু আলহাজ্বকে দুইদিন পর ঢাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। অপহরণকারীদের আটক করতে রুবেলের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পুলিশি জিম্মায় নিয়ে অভিযান চালিয়ে অক্ষত অবস্থায় শিশু আলহাজ্বকে উদ্ধার করে জেলা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সকাল ১১ টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংকালে এমন তথ্য তুলে ধরেন পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।
পুলিশ জানায়, টাকার লোভে আট বছর বয়সী ভাগ্নে আলহাজ্বকে অপহরণ করে মামা কামরুল (২৫)। অপহরণের পর ভাগ্নেকে তার সহযোগী ও বন্ধু রুবেলের হাতে তুলে দেয় কামরুল। পরে তারা অপহৃতের বাবা নাটোরের বড়াইগ্রামের বাগডোব এলাকার বাসিন্দা আক্তার প্রামাণিকের কাছে ৪০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার আরো বলেন, অল্প সময়ে ধনী হতে নাটোরের বড়াইগ্রামের লক্ষীকোল এলাকার মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে কামরুল তার বন্ধু বগুড়ার দুপচাচিয়ার বাসিন্দা রুবেলের সাথে পরিকল্পনা করে।
আরও পড়ুন: ১১ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার, ধর্ষক গ্রেপ্তার
পরিকল্পনা অনুযায়ী ২১ আগস্ট সকালে কামরুল তার নিজস্ব ভাড়ায় চালিত প্রাইভেটকার (রেজিঃ নং ঢাকা মেট্রো-গ ১১-২৬৭৬) নিয়ে নিজ বাড়ীর সামনে থেকে নতুন কাপড় ও চকলেটের লোভ দেখিয়ে আলহাজ্বকে অপহরণ করে। পরে ওইদিনই কামরুল সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল মোড় এলাকায় ঢাকা থেকে আসা রুবেলের কাছে আলহাজ্বকে তুলে দিয়ে বাড়ী ফিরে আসে।
এদিকে আলহাজ্ব অপহৃত হওয়ার পরে অপহৃতের বাবা আক্তার প্রামাণিক বড়াইগ্রাম থানায় এজাহার দাখিল করলে উদ্ধারকাজে নামে পুলিশ। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বড়াইগ্রাম উপজেলার লক্ষীকোল এলাকা থেকে গত ২২ আগস্ট রাত ১০টার দিকে অপহৃতের চাচাতো মামা কামরুলকে আটক করে পুলিশ।
পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বগুড়ার দুপচাচিয়ায় রুবেলের স্ত্রী আকলিমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। আকলিমার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকায় রুবেলের শাশুড়ির অবস্থান নির্ণয় ও তার বাসা থেকে অপহৃত আলহাজ্বকে কিছুটা অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তবে বিষয়টি টের পেয়ে রুবেল অভিযানের আগেই বাসা থেকে পালিয়ে যায়।
উদ্ধারের পর শিশু আলহাজ্বকে ঢাকার রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রুবেলকে দ্রুত আটক করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।
উল্লেখ্য, রুবেল একজন ডাকাত দলের সদস্য এবং তার নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
