সিলেট সদর উপজেলায় সড়কের দুই পাশে অবৈধ দখলবাজির কারণে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। খাল ভরাট করে স্থাপনা নির্মান করায় পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এতে জলাবদ্ধতায় আটকা পড়েছে দশ গ্রামের মানুষ। আর, এই সমস্যা দ্রুত সমাধানের দাবিতে এবার আন্দোলনে নেমেছেন তারা।
অবশ্য, সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে দখলদারদের তালিকা তৈরি হয়েছে, শিগগিরি শুরু হবে খাল উদ্ধার অভিযান।
সম্প্রতি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত হলেও, কুমারগাঁও-বাদাঘাট সড়কের দুই পাশে কোন স্যুয়ারেজ লাইন নেই।
সড়ক ও জনপথের খাল দিয়ে বৃহত্তর এ এলাকার পানি নদীতে নিষ্কাষিত হয়ে আসছিলো। কিন্তু অবৈধ দখলদাররা বিভিন্ন জায়গায় খাল দখল করায় পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে অল্প বৃষ্টিতে পানি জমে থাকায় দুর্ভোগের শেষ নেই দশ গ্রামের মানুষের।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে দুই কিলোমিটার সড়ক বেহাল দুই যুগ ধরে
জমে থাকা পানি রোগবালাই ছড়াচ্ছে বলে জানালেন এলাকাবাসী। করোনা মহামারীর এই সময়ে পানিবাহিত রোগ নতুন আতঙ্কের জন্ম দিয়েছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানানোর পরও কোনো ফল না পেয়ে আন্দোলনে নেমেছেন এলাকাবাসী। তারা জানান, দিনের পর দিন দুর্ভোগে তাদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
তবে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুস্তাফিজুর রহমান জানান, দখলদারদের তালিকা করা হয়েছে। দ্রুতই খাল দখলমুক্ত করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।
অবিলম্বে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষনা দিয়েছেন ভুক্তভুগী এলাকাবাসী।
একাত্তর/আরবিএস