পাবনায় পদ্মা নদীতে ভাসমান মাছের খামার করে সাবলম্বী হয়েছেন বহু তরুন। অনেকেই এখন ভাসমান মাছ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। তাদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিচ্ছে মৎস্য অফিস।
উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে পদ্মা নদীতে প্রথমে পাঁচ লাখ টাকা খরচে, ১০টি খাঁচায় ভাসমান মাছ চাষ শুরু করেছিলেন পাবনার সুজানগরের কয়েকজন তরুণ।
লাভের মুখ দেখতে শুরু করায় এখন তাদের খাঁচার সংখ্যা পাচশ’। সামনের সময়ে এই সংখ্যা আরো বাড়ানোর পরিকল্পনাও করছে সেসব তরুণরা।
তিন বছর ধরে তারা সফলভাবে চাষ করছেন রুই, তেলাপিয়া ও পাবদাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। তাদের সফলতা দেখে অনেকেই এখন খাঁচায় মাছ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
উদ্যোক্তরা বলছেন, প্রথম দিকে তারা বেশ লাভ পেয়েছিলেন। কিন্তু করোনার কারণে মৎস্য খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন কাঙ্খিত লাভ পাচ্ছেন না।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নূর কাজমীর জামান খান জানান, খাঁচায় চাষ করা এসব মাছ বেশ সুস্বাদু, চাহিদাও বেশি। প্রশিক্ষণের পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের ঋণও দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, জেলায় প্রচুর খোলা জলাধারে খাঁচায় মাছ চাষ করে অর্থনৈতিক স্বনির্ভর হাওয়াই শুধু নয়, গ্রাম বাংলার অপুষ্টি দূরীকরণে এক মুখ্য ভূমিকাও নিতে পারেন।
উপজেলার প্রায় দশটি স্থানে এই ভাসমান মাছের খামার রয়েছে। সরবরাহ করা খাবারের পাশাপাশি এসব মাছ নদী থেকেও খাদ্যও পায়, তাই বেড়েও ওঠে দ্রুত।
আর বছরে তিনবার এসব মাছ বিক্রি করা যায়। ফলে অনেক দ্রুত পূঁজি ওঠে এসে লাভের মুখ দেখতে পারছেন তরুণ উদ্যেক্তারা।
খাঁচায় মাছ চাষ নদী বা জলাশয়ে আধুনিক মাছ চাষের একটি পদ্ধতি। ২০০২ সাল থাইল্যান্ডের অনুকরণে সেনাবাহিনী প্রথম চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীতে এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করে।