আবারও পানি বাড়ছে পদ্মা ও যমুনায়। এরইমধ্যে দুই নদীর পানি বিপদসীমা ছাড়িয়েছে। সোমবার সকালে পদ্মার প্রবল স্রোতে ভেঙে গেছে দৌলতদিয়ার চার নম্বর ফেরিঘাট এলাকার কয়েকটি বাড়ি ও মসজিদ। এদিকে যমুনার পানি বাড়ায় গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ আর জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে।
দ্বিতীয় দফায় পানি বাড়ছে পদ্মায়। সোমবার সকালে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া পয়েন্টে পানির চাপে মুহূর্তেই বিলীন হয়েছে ৪ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার ৫টি বাড়ি এবং জামে মসজিদ।
ভাঙন আতঙ্কে দ্রুত সরিয়ে নেয়া হয়েছে আরো ৫০টি বাড়ি। এখনো ভাঙছে নদীর পাড়, হুমকিতে কয়েকশ বাড়িঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা। সকাল থেকে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্ট চলছে।
বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা। বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে ঘাঘট ও তিস্তার পানি। সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ২০ টি ইউনিয়নের মানুষ এখন পানিবন্দি। গবাদি পশু নিয়ে উচু এলাকায় ছুটছে মানুষ।
সবকটি নদী পানি বেড়ে এখনো পানিবন্দি কুড়িগ্রামের নিচু ও চর এলাকার ৬০ হাজার মানুষ। পানির স্রোতে সারডোব এলাকার বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
যমুনার পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে সিরাজগঞ্জে। নিচুএলাকা ও চরাঞ্চলে ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় উচু এলাকায় আশ্রয় নিচ্ছেন মানুষ। কোন কোন এলাকায় শুরু হয়েছে ভাঙন।
জামালপুরে যমুনা-ব্রহ্মপুত্রসহ বিভিন্ন নদ নদীর পানি বাড়ছেই। যমুনার পানিতে জেলার নিচু এলাকার ফসলি জমি ডুবে গেছে। সরিষাবাড়িতে পানির চাপে ভেঙে গেছে সেতুর সংযোগ সড়ক। ৪০টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত নিয়ে পড়েছেন দুর্ভোগে।