পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় ভোররে ১০টি দোকান আগুনে পুড়ে গেছে। স্থানীয়, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় ওই আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। স্থানীয়দের অভিযোগ, ফায়ার সার্ভিসের নম্বর পরিবর্তন হয়েছে তা এলাকায় জানানো হয়নি। এতে তাদের সহযোগিতা পেতে দেরি হয়েছে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) ভোর চারটার দিকে পৌর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজ পাড়া এলাকায় আগুনের এই ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলো হলো- অসিম মিয়ার ফলের দোকান, মিরাজের মুদি দোকান, গোপালের সেলুন, আবুল কালাম আকনের ডলফিন কাউন্টার, ইলিয়াস হোসেনের স্টেশনারি, নাসির উদ্দিনের খাবার হোটেল, মুজিবর রহমান স্টেশনারি, মনির হোসেনের স্টেশনারি, খলিল মিয়ার চায়ের দোকান।
স্থানীয়রা জানান, গলাচিপা সরকারি কলেজের সামনের সড়কের পূর্ব পাশে থাকা দোকানগুলোতে ভোরে পথচারীরা আগুন দেখতে পায়। পরে স্থানীয়, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের সহযোগিতায় আগুন নেভানো হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক মাসুদুর রহমান বলেন, গলাচিপ ফায়ার সার্ভিসের সাব স্টেশনের পুরানো নাম্বারে শতবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। পরে জানতে পারি ফায়ার সার্ভিস নম্বর পরিবর্তন করেছে। নতুন নম্বর যদি সব জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হতো তাহলে এতো ক্ষয়ক্ষতি হতো না ।
গলাচিপা ফায়ার সার্ভিসের সাব স্টেশন অফিসার মো. কামাল হোসেন জানান, খবর পেয়েই ঘটনাস্থল গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়। এরই মধ্যে ৯টি দোকান পুড়ে যায়। ধারণা করা যাচ্ছে, বিদ্যুতের সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
তিনি জানান, ব্যবসায়ীরা কোটি টাকা ক্ষতি দাবি করলেও অন্তত ২০ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যায়নি।
এ ব্যাপারে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. নাসিম রেজা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সাহায্যে ও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
পাশাপাশি বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন নেতাকর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সরকারের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দিয়েছেন।