লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীর মোহনায় খুঁটি দিয়ে জাল পেতে ইলিশসহ সব ধরণের মাছ শিকার করছে প্রভাবশালীরা। এতে নদীর গভীরে ইলিশ ঢুকতে না পারায় জেলেরা নৌকা নিয়ে সারাদিন নদীতে কাটালেও দেখা পাচ্ছে না কাঙ্খিত ইলিশের। দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে ইলিশ শিকারে গিয়ে এমন বিপাকে পড়ছেন তারা।
লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীর মোহনায় এভাবেই গাছের খুঁটি দিয়ে পাতা হয়েছে অবৈধ জাল। সাগর থেকে নদীতে ঢোকার মুখেই এমন জালে আটকা পড়ে ইলিশসহ প্রায় সব ধরণের মাছ।
ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে ৩০ এপ্রিল। এর পর থেকেই নৌকা নিয়ে নদীতে নামছেন জেলেরা। বছরের এই সময়ে প্রচুর ইলিশ শিকার আর কেনাবেচায় সরগরম থাকার কথা মাছেরঘাট। অথচ এবার নদীতে কাঙ্খিত ইলিশ পাচ্ছেন না জেলেরা।
জেলেদের অভিযোগ, নদীর মোহনায় খুঁটি দিয়ে জাল পেতে মাছ শিকার অবৈধ। কিন্তু প্রশাসনকে ম্যানেজ করে লক্ষ্মীপুর সদরের চর রমনীমোহন ইউনিয়নের চর মেঘা, কমলনগরের মতিরহাট পয়েন্ট ও রামগতির চরআলগীসহ বয়ারচর এলাকায় এভাবে জাল পেতেছে প্রভাবশালীরা।এতে নদীতে ইলিশ আসতে পারছে না।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন প্রভাবশালীরা খুঁটি দিয়ে জাল পেতে মাছ ধরার কথা স্বীকার করেছেন। তবে মৎস্য বিভাগের এসব খুঁটি সরানোর সামর্থ্য নেই বলে জানান তিনি।
বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ভূমি মন্ত্রণালয়, বিআরটিএ যদি উদ্যোগ নেয় তাহলে সম্মিলিত অভিযোগ এসব সরানো সহজ হবে।
লক্ষ্মীপুর জেলায় মৎস্য বিভাগে নিবন্ধিত ৩৯ হাজারসহ মোট জেলের সংখ্যা প্রায় ৫২ হাজার। মেঘনায় ইলিশসহ মাছ মাছ ধরে তাদের জীবন চলে। তবে তাদের এই জীবিকায় কালোছায়া হয়ে নেমে এসেছে নদীর মোহনায় খুঁটি জাল।