নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলা থেকে এক দোকান কর্মচারী নিখোঁজের দুই দিন পর একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা এই হত্যার কারণ জানাতে পারেনি।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে জেলার সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের সওদাগরের বাড়ির পাশের নতুন বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতের নাম মীর হোসেন ওরফে সাদ্দাম (৩১)। তিনি সদর উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর গ্রামের মনহর আলী পিয়ানো বাড়ির মৃত মমিনুল হকের ছেলে।
সাদ্দাম রাজগঞ্জ ইউনিয়নের জিসান নামে এক ব্যক্তির রড-সিমেন্ট দোকান সোলেমান ট্রেডার্সের ম্যানেজার ছিলেন।
দোকানটির মালিক রাজগঞ্জ ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি এবং রাজগঞ্জ বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজেন্দ্রপুর নিজ গ্রাম থেকে সাদ্দাম নিখোঁজ ছিলেন। এরপর তার পরিবার বিষয়টি মৌখিকভাবে বেগমগঞ্জ পুলিশকে জানায়। শনিবার সকালে কয়েকটি শিশু আম কুড়াতে গিয়ে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে পলিথিন মোড়ানো মরদেহ দেখে। পরে বিষয়টি জানারে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। নোয়াখালী সদর ও বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার ও সুরতহাল করে।
মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে আলাদা দুর্ঘটনায় নিহত তিনসুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ আবু তাহের বলেন, নিহতের গলায় ও মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার রহস্য জানার চেষ্টা চলছে, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
