বাগেরহাটে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত ও আরও দুই মোটরসাইকেল আরোহী আহত হয়েছেন। রোববার সকালে সদর উপজেলার বাগেরহাট-পিরোজপুর মহাসড়কের বৈটপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার সোনাতলা গ্রামের ফারুক হাওলাদারের ছেলে রনি হাওলাদার (২৪) এবং একই এলাকার জাফর খানের ছেলে রাব্বি খান (২৫)। আহত ফয়সাল ও মিজানের বাড়িও একই এলাকায়।
আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা এবং পরে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হতাহতদের মধ্যে রাব্বি খান ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক। হতাহত চারজনে একটি মোটরসাইকেলে করে বাগেরহাটে আসছিলেন। বাগেরহাট আদালতে তাদের মামলার হাজিরা ছিল বলে জানা গেছে। হতাহতদের মধ্যে রাব্বি ছাড়া অপর তিনজন সুন্দরবনের নদী-খালে মাছ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
কাটাখালী হাইওয়ে পুলিশ জানায়, খুলনা থেকে বরিশাল গামী ধানসিঁড়ি পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস ‘দক্ষিণ বাংলা’ বৈটপুর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেল এবং ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় ঘটনাস্থলেই দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত এবং অপর দুইজন আহত হন। পরে স্থানীয়রা হতাহতদের উদ্ধার করে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জিয়াউল আদনান রুমেল জানান, দুর্ঘটনার পর চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে দুইজনের আগেই মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অপর দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাগেরহাটের কাটাখালী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে ওই বাসের চালক ও তার সহকারী পালিয়ে গেছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।