গত ২২ মার্চ পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের কলমতেজী ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির টেপারবিল এলাকায় এবং ওই আগুন নিয়ন্ত্রণের একদিনের মাথায় ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে ধানসাগর টহল ফাঁড়ির অধীন শাপলার বিল তেইশেরছিলার বনে আগুন লাগে। ওই আগুনের ঘটনায় প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদনে আগুনের সম্ভাব্য সূত্র হিসেবে মৌয়াল ও জেলেদের দায়ি করা হয়েছে। পাশাপাশি বনে আগুনের ঘটনা প্রতিরোধে ভোলা নদী পুনঃ খননসহ কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছে।
গত সাত এপ্রিল তদন্ত কমিটি বিভাগীয় বন কর্মকর্তার (ডিএফও) দপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেন। তবে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সাংবাদিকদের এই এই তথ্য জানায় পূর্ব সুন্দরবন বনবিভাগ।
তদন্ত কমিটিতে যারা ছিলেন তারা হলেন- কমিটির প্রধান পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) দীপন চন্দ্র দাস। অন্য দুই সদস্য হলেন, ধানসাগর ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা ফরেস্টার বিপুলেশ্বর দাস ও ধানসাগর ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম।
তদন্ত প্রতিবেদনে এবারের আগুনের ঘটনা নিয়ে গত ২১ বছরে সুন্দরবনে ২৪ বার আগুন লেগেছে উল্লেখ করে জানানো হয়, মৌয়াল ও জেলেদের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) দীপন চন্দ্র দাস বলেন, আগুনের সম্ভাব্য কারণ ও প্রতিকারে করনীয় কয়েকটি সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করীম বলেন, আগুন প্রতিরোধে ভোলা নদী পুনঃ খনন করে নদীকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা, বনের বলাকাঠ কাটার পাশপারমিট, বনের পাহারা জোরদার করাসহ বেশ কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছে।
নবজাতক বেচে নাকের নথ, নূপুর, মোবাইল, জুতা কেনেন মা
সাভারে বাস থেকে আরও এক ছিনতাইকারী আটকগত ২২ মার্চ পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের কলমতেজী ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির টেপারবিল এলাকায় বনে আগুন জ্বলে ওঠে। বনবিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস দুই দিনে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু ওই আগুনের একদিনের মাথায় টেপারবিলের এক কিলোমিটার দূরে ধানসাগর টহল ফাঁড়ির অধীন শাপলারবিল তেইশেরছিলার বনে নতুন করে আগুন জ্বলে ওঠে। সেখানে আগুনের ব্যাপকতা ও পানির অভাবে হিমশিম খেতে হয় বনরক্ষী ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের। আগুনের স্থলের তিন কিলোমিটার দূরে সরু হয়ে যাওয়া ভোলা নদী থেকে পানির পাইপ টেনে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ও বনরক্ষীরা ছয় দিনে আগুন নেভায়। আগুনে সুন্দরবনের ছয় একর বনভূমির লতা-গুল্ম, সুন্দরী ও বলা গাছ পুড়ে যায়।
