যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের আয়কর ও ভ্যাট পরিশোধের ৯টি চেকের মাধ্যমে আড়াই কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের আয়-ব্যয় যাচাইয়ের জন্য ব্যাংক হিসাব মিল করতে গিয়েই বোর্ডের অডিট শাখা এই জালিয়াতির প্রমাণ পায়। ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বোর্ডের সচিব বরাবর একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষাবোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ৯টি চেকের মাধ্যমে আয়কর ও ভ্যাট বাবদ ১০ হাজার ৩৬ টাকা ইস্যু করা হয়েছিল। কিন্তু ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং এবং শাহী লাল স্টোর নামের দুটি প্রতিষ্ঠান ওই চেকগুলো ব্যবহার করে শিক্ষাবোর্ডের অ্যাকাউন্ট থেকে দুই কোটি ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ১০ টাকা তুলে নিয়েছে।
সচিব বরাবর দেওয়া ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২০-২১ অর্থ বছরের আয়-ব্যয়ে বোর্ডের সকল অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্টের সঙ্গে মিল করতে গিয়ে বড়ো ধরণের অমিল ধরা পড়ে। বোর্ডের ব্যয় অ্যাকাউন্ট এসটিডি-২৩২৩২৪০০০০০২৪ হিসাব খাতে ৯টি চেক পরিশোধ করা হয়েছে, যা বোর্ডে সংরক্ষিত মুড়ি বইয়ের চেকে উল্লেখিত টাকার পরিমাণের সঙ্গে ব্যাংকের পরিশোধিত টাকার মিল নেই।
চিঠিতে আরও উল্লেখ, রেজিস্টারের সঙ্গে মেলাতে গিয়ে দেখা যায় বোর্ডে সংরক্ষিত মুড়ি বইয়ের ওই ৯টি চেকের তারিখ অনুযায়ী হিসাব শাখার ব্যয় রেজিস্টারের ব্যয় বিবরণীতে ভ্যাট ও আয়কর বাবদ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য চেকগুলো ইস্যু করা হয়। এই চেকগুলো সরকারি কোষাগারে পরিশোধিত হয়নি। অথচ দুইটি প্রতিষ্ঠান চেকগুলোর বিপরীতে দুই কোটি ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ১০ টাকা উত্তোলন করেছে। এই টাকার বিপরীতে প্রতিষ্ঠান দুটি বোর্ডে কোনো মালামাল সরবরাহ করেছে কি না, তার কোনো তথ্যও বোর্ড স্টোরে নেই।
এ ব্যাপারে যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোল্লা আমির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ২০২০ সালের ৩০ জুলাই থেকে চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই ৯টি চেক দিয়ে এসব টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। অডিট রিপোর্টে বলা হয়েছে, এ ৯টি চেক ছাড়াও আরও জালিয়াতি আছে কি না তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগের পর দেশে ফিরলো ১৯ কিশোর-কিশোরী
চেকগুলো ওই প্রতিষ্ঠান দুটির হাতে কিভাবে গেলো এমন প্রশ্নে ডা. মোল্লা বলেন, এ বিষয়টি আমরা এখন জানিনা। জানতে চেষ্টা করছি। এ ব্যাপারে তদন্ত, সাধারণ ডায়রিসহ আমরা আইনের আশ্রয় নেবো। আশা করছি, দ্রুত সব তথ্য বেরিয়ে আসবে।
একাত্তর/এসি