করোনা মহামারীর দুঃস্বপ্ন কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। স্কুল-কলেজের পর একে একে খুলছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। সেই যাত্রায় এবার আবাসিক হলে ফিরলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) সকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের হলে বরণ করে নিতে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ছিলো নানান আয়োজন।
হল আইডি কার্ড ও টিকা কার্ড দেখিয়ে হলে প্রবেশ করানো হয় আবাসিক শিক্ষার্থীদের। মঙ্গলবার থেকেই শুরু হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা।
হলগুলোতে দীর্ঘ ১৯ মাস পর ফিরলেন শিক্ষার্থীরা। তাই সকাল থেকেই ফুল, চকলেট, মাস্ক, কলমসহ নানান উপহার নিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা শিক্ষার্থীদের অভ্যর্থনা জানান।
তবে এই অভ্যর্থনা নিতে শিক্ষার্থীদের দেখাতে হয় এক ডোজ টিকা নেওয়ার প্রমাণপত্র এবং হলের দরকারি কাগজ। যা সঙ্গে নিয়ে আসতে ভুল করেননি শিক্ষার্থীরা।
দীর্ঘদিন পর হলগুলো খোলায় স্বস্তি জানান শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, এই দিনটির জন্য তারা অপেক্ষায় ছিলেন। সহপাঠীদের সঙ্গে দীর্ঘ দিন পর দেখা হওয়া আলাদা আনন্দের।
আরও পড়ুন: বিভিন্ন মেয়াদে চবি ছাত্রলীগের ১২ নেতা-কর্মী বহিষ্কার
শিক্ষকরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে পেরে তাদেরও অনেক আনন্দ হচ্ছে। লম্বা বিরতির পর এখন শ্রেণীকক্ষে পাঠদান শুরুর জন্য মুখিয়ে আছেন তারা।
হলগুলো দেখতে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার জানান, করোনায় শিক্ষার ক্ষতি কাটিয়ে তুলতে নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষার বাইরেও বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। সেই সঙ্গে চলমান থাকবে টিকা কার্যক্রম।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেলেও বাংলাদেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ই মার্চ।
ওইদিন তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও।
একাত্তর/এসজে
