ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্যবই এ পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের প্রথম চারমাসের পর্যবেক্ষণ দেখে ২০২৩ সালের ষষ্ঠ শ্রেণির পূর্ণাঙ্গ বই ছাপানো শুরু হবে।
তাই ২০২৩ সালে বই দিতে জটিলতা হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। ২০২৩ সালে ষষ্ঠ আর সপ্তম দিয়ে শুরু হলেও ২০২৫ সালে পূর্ণাঙ্গ নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হবে।
ভেতর বাইরে পুরোটাই রঙ্গীন। ছবি আর সহজ ভাষায় লেখা। মুখস্ত নয় নিজের মতো কাজ করে শেখার জন্যই নতুন আদলের ষষ্ঠ শ্রেণির বই।
যার পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হয়েছে গেলো ২২ ফেব্রুয়ারি। বইয়ের সংখ্যা কমে হয়েছে ১১। বিজ্ঞান বিষয়ের জন্য সহায়ক হিসেবে আলাদা আছে আরেকটি বই।
পাইলটিংয়ের আওতায় আছে শিক্ষকদের জন্য বিষয় ভিত্তিক সহায়িকাও। কেমন হচ্ছে পাইলটিং বা পরীক্ষামূলক কার্যক্রম? শিক্ষকদের জন্যই বা কতটা চ্যালেঞ্জের?
গভমেন্ট ল্যাব উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক শিশির মল্লিক জানালেন, নতুন শিক্ষাক্রমের সঙ্গে মানিয়ে নিতে শুরুতে শিক্ষকদের কিছুটা চ্যালেঞ্জ আছে। সেই সঙ্গে দায়িত্বও অনেক বেড়েছে।
তিনি আরো জানান, পাইলটিংয়ের জন্য সবগুলো বই শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক আকষর্ণীয় করে ছাপা হয়েছে। শিক্ষনে আছে সহায়িকাও। বস মিলিয়ে তারা স্বাগতই জানাচ্ছেন।
বলা হচ্ছে চার মাস করে পাইলটিংয়ের স্লট ভাগ করা হয়েছে। প্রথম তিন মাস পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালানোর পরই রিপোর্ট নেয়া হবে।
তার ভিত্তিতে গোটা বছরের বিষয় ঠিক করা হবে। এতো কাজের মধ্যেও ২০২৩ সালের ষষ্ঠ আর সপ্তম শ্রেণির পূর্ণাঙ্গ বই দিতে জটিলতা হবে না বলে আত্মবিশ্বাসী শিক্ষা মন্ত্রনালয়।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য প্রফেসর মশিউজ্জামান বলেন, তিন-চার মাসের পর্যবেক্ষণে যদি কোন ভুল ক্রুটি ধরা পড়ে তাহলে সেসব সংশোধন করেই আগামী বছরের জন্য সবগুলো বই ছাপতে দেয়া হবে। তাই বই দেরিতে দেরি হবে।
আর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি বলেছেন, বিভিন্ন ধাপের পাইলটিং থেকে পাওয়া প্রতিবেদন আমলে নিয়ে পাঠ্য বইয়ে পরিমার্জন ও পরিবর্তন করে, তবেই নতুন বই ছাপতে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: সবচেয়ে বড় গণটিকা কার্যক্রম ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি
এদিকে মাধ্যমিকের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হলেও এখনো প্রাথমিক পিছিয়েই আছে। দায়িত্ব আসা নতুন সচিব আমিনুল ইসলাম খান জানান দ্রুতই কাজ শুরু হবে।
২০২৩ সালকে সামনে রেখে মাধ্যমিকের ষষ্ঠ সপ্তম আর প্রাথমিকের প্রথম দ্বিতীয় শ্রেনীতে নতুন কারিকুলামের বই দিতে চায় সরকার।
একাত্তর/আরএ