বিজ্ঞাপনের মডেল বা শুভেচ্ছা দূত হয়ে পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ে তারকাদের যুক্ত করার রেওয়াজ বেশ পুরোনো। কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠানের প্রতারণা কিংবা মানহীন পণ্যের প্রচারে তারকাদের অংশ নেয়া কতটা নৈতিকতা বিরোধী তাই নিয়ে চলছে এখন আলোচনা সমালোচনা।
তারকাদের অনেকেই বলছেন, প্রতিষ্ঠান আর পণ্যের মান যাচাই করেই বিজ্ঞাপনে যুক্ত হওয়া উচিত তারকাদের। আবার ভিন্ন মতও রয়েছে অনেকের।
সমালোচনার সূত্রপাত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালীর কর্ণধার মোহাম্মদ রাসেলকে আটকের পর থেকেই। গায়ক ও অভিনেতার পাশাপাশি ব্যবসা প্রশাসনের শিক্ষক হয়েও ইভ্যালির মত প্রতিষ্ঠানে চিফ গুডনেস অফিসার ও ফেস অব ইভ্যালি হিসেবে যুক্ত থাকায় নেটিজেনদের তোপের মুখে পড়েছেন তাহসান।
প্রতিষ্ঠানটির সাথে প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে শবনম ফারিয়া এবং শুভেচ্ছা দূত হিসেবে মিথিলা যুক্ত থাকার কারণে সমালোচিত হয়েছেন। সমালোচনা হয়েছে ক্রিকেটার মাশরাফিকে নিয়েও। এমনকি সম্প্রতি শ্রেষ্ঠ ডটকম থেকেও পদত্যাগ করেছেন নায়ক নিরব।
প্রশ্ন উঠেছে প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা যাচাই না করেই তারকাদের শুভেচ্ছা দূত, মডেল বা সেই প্রতিষ্ঠানে চাকুরি নেয়া কতটা যুক্তিযুক্ত ছিলো।
আরও পড়ুন: ইভ্যালি পরিচালনা কমিটিতে তিন সচিবের নাম প্রস্তাব
সমালোচনা চলছে অন্যান্য তারকাদের নিয়েও। তাই তারকাদের অনেকেই মনে করছেন পণ্য ও প্রতিষ্ঠানের মান যাচাই না করে তার সাথে যুক্ত হওয়ার দায় তারকাদেরও রয়েছে।
আবার ভিন্নমত ও রয়েছে অনেক তারকার। তারা মনে করেন, পণ্যমান যাচাই করার দায় তারকাদের নয়।
ভোক্তা স্বার্থ সুরক্ষা আইনের মিথ্যা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করার সাজা এক বছরের জেল কিংবা সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
তাই নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলেছেন, আইন সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণেই যাচাই-বাছাই না করেই তারকারা যুক্ত হয়েছেন বিজ্ঞাপন বা শুভেচ্ছা দূত হিসেবে। তাই আগামীতে মান যাচাই করে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রচারে অংশ নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন তারকাদের ভক্তরাই।
একাত্তর/এসজে