নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে তা স্বীকার করছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। তবে সংগঠনটি বলছে, বাজারে পণ্যের সরবরাহ ঘাটতির আতঙ্ক এ দাম বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ। এ কারণে ব্যবসায়ীরা মজুদ রাখছেন এবং ক্রেতারও কেনাকাটার পরিমাণ বাড়িয়েছেন।
রোববার (১৭ অক্টোবর) এফবিসিসিআই কার্যালয়ে নিত্যপণ্য সামগ্রী মজুদ, আমদানি, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এমনটা জানানো হয়। এসময় এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পণ্য সরবরাহ সমন্বয়হীনতা, সুষ্ঠু নীতিমালার অভাব, অপরিকল্পিত বিপণন ও পরিবহন ব্যবস্থার অভাব, সড়কে চাঁদাবাজি এবং সরকারি পর্যায়ে মনিটরিংয়ের অভাব এর মূল কারণ।
এসময় পেঁয়াজ ও চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম কেন বাড়ছে, তা ব্যবসায়ীদের কাছে জানতে চায় এফবিসিসিআই। আমদানিকারকদের অভিযোগ, ভারতীয় বাজারে দাম বাড়লেই দেশেও পেঁয়াজের দাম বাড়ে। তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে দ্রুত তথ্য ছড়িয়ে যায় ফলে দেশের প্রান্তিক আড়তদাররাও দাম বাড়িয়ে দেয়।
চাল, ডিম, মুরগী কিংবা শাক-সবজি প্রায় প্রতিটি পণ্যেরই বাজার চড়া। যার কারণে বাজারে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্রেতাদের। হঠাৎ করে কেন বাড়লো এসব নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর দাম তা জানতে এ খাতের ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভা করে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
আরও পড়ুন: ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির বাজার বাড়তি
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিমউদদীন বলছেন, কিছু অসৎ ব্যবসায়ীর দায় পুরো ব্যবসায়ী সমাজ নেবে না।
তিনি বলেন, সরকারের খাদ্যপণ্যের উৎপাদন সংক্রান্ত তথ্য উপাত্তের ঘাটতির সুযোগ নিচ্ছে সব পক্ষ। লজিস্টিক সুবিধা না থাকায় অনেক খাদ্যপণ্য নষ্ট হচ্ছে। হয় সরকার নয় ব্যবসায়ীদের নিজ উদ্যোগে বিনিয়োগ করে খাদ্য গুদাম নির্মাণ করার আহবান জানান তিনি।
মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের আমদানিকারক, আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধি, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি, রাজধানীর বিভিন্ন বাজার সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও ছিলেন দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির ব্যবসায়ী নেতারা।
একাত্তর/এসজে