ইভ্যালি পরিচালনায় পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দিয়েছে হাইকোর্ট। বোর্ডের প্রধান হিসেবে থাকছেন আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এএইএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। এছাড়া, দুইজন সচিব, চার্টার্ড সেক্রেটারি ও একজন আইনজীবী রয়েছেন।
বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিক কোম্পানিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব থাকবেন ওএসডিতে থাকা অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন।
এছাড়া বোর্ডে থাকছেন চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহমেদ, আইনজীবী শামিম আজিজ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব করা অবসরপ্রাপ্ত সচিব রেজাউল আহসান। এই দায়িত্ব পালনের জন্য তারা সবাই সরকারের কাছ থেকে বেতন পাবেন।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারের ভার্চুয়াল একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে, ইভ্যালির গ্রাহক ফরহাদ হোসেন প্রতিষ্ঠানটির অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টের কোম্পানি আদালতে আবেদন করেন। এর মাধ্যমে নিজের রিফান্ড পাওয়ার আবেদন করেন ওই গ্রাহক।
সেই সঙ্গে, ইভ্যালির নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠনের আবেদনও করেন তিনি। ইভ্যালির তথ্য অনুযায়ী, তাদের মোট সম্পদের মূল্য ১২১ কোটি টাকা। গ্রাহক ও মার্চেন্টরা কোম্পানিটি থেকে পায় এক হাজার কোটি টাকারও বেশি।
ইভ্যালির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগকারী ভুক্তভোগীদের আইনজীবী এএম মাসুম বলেন, বোর্ড শুরুতেই ইভ্যালির অবস্থা সম্পর্কে একটা অডিট করবে। তারপর কোম্পানিটি আদৌ আর পরিচালনা করা সম্ভব নাকি বন্ধ ঘোষণা করা উচিৎ এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির বোর্ডপ্রধান বিচারপতি মানিক
যদি কোম্পানিটি পরিচালনা করা সম্ভব হয় তাহলে এই বোর্ড সেটি পরিচালনা করবে। পরিচালনা করা সম্ভব না হলে কোম্পানিটি অবসায়ন করে দেয়া হবে। কোম্পানিটির নিয়মিত যেসব কাজ সেটি এই বোর্ড পরিচালনা করবে, এমনকি বাৎসরিক সভাও।
ইভ্যালি গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পণ্য সরবরাহ করছে না- এমন অভিযোগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক গুলশান থানায় মামলা করার পরদিন বিকালে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান রাসেলের স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে দু’জনই কারাগারে।
একাত্তর/আরএ