বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় মাসে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা লোকসান
গুণছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন- বিপিসি।
ডিজেল ও ফার্নেস তেল আমদানি ও বিক্রয় মূল্যের পার্থক্য থেকে এই লোকসান হচ্ছে বলে জানান, বিপিসি চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ।
এদিকে ভারতের সাথে বাংলাদেশের বাজারে দামের পার্থক্যের কারণে তেল পাচারের আশংকা দেখা দিয়েছে।
বিশ্ববাজারে বেড়েই চলছে ডিজেল ও ফার্নেস তেলের দাম। তবে বাংলাদেশ যেহেতু বিশ্ববাজারের সাথে মিলিয়ে দাম ঠিক করে না তাই আগের দামেই তেল বিক্রি করতে হচ্ছে।
পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান জানান, এই কারণে এখন ডিজেল ও ফার্নেস বিক্রিতে প্রতিদিন লোকসান হচ্ছে ২০ কোটি টাকা।
এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে দাম সমন্বয় করায় ভারতে ডিজেলের দাম বাংলাদেশের চেয়ে প্রতি লিটারে ৫০ টাকারও বেশি।
তাই প্রতিবেশি দেশটিতে বাংলাদেশ থেকে ডিজেল পাচারের আশংকা বাড়ছে। এজন্য বিজিবি ও জেলা প্রশাসনকে কঠোর নজরদারির নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান বিপিসি প্রধান।
দেশে বর্তমানে দৈনিক প্রায় ১২ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল ও এক হাজার ৩৪৬ টন ফার্নেস তেল বিক্রি হয়।
একাত্তর/আরবিএস