করোনা মহামারীতে নিমজ্জিত অর্থনীতিকে টেনে তুলতে লড়াই করছে পুরো বিশ্ব। উন্নত দেশগুলো বিপুল পরিমাণ প্রণোদনা দিয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে মহামারী মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলো। মহামারীর শুরু থেকেই এ দেশগুলোর সহায়তায় এগিয়ে এসেছে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলো। এবার উন্নয়নশীল দেশগুলোকে অতিরিক্ত ৬৫ হাজার কোটি ডলারের রিজার্ভ সহায়তা দিচ্ছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। স্বল্প সুদে দেয়া এ ঋণ টিকাদান কার্যক্রম এবং অন্যান্য জরুরি অবস্থাকে সহায়তার পাশাপাশি দেশগুলোর অর্থনীতিতে নগদ অর্থের প্রবাহ বাড়িয়ে তুলবে। খবর ব্লুমবার্গ।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত খসড়া তৈরিতে অনুমোদন দিয়েছে মুদ্রা তহবিলের বোর্ড। বৈঠক শেষে সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান। আগামী জুনে এ-সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক পরিকল্পনা আসতে পারে।
জর্জিয়েভা বলেছেন, এ বিষয়ে দুর্বল ও স্বল্প আয়ের দেশগুলোকে সহায়তায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়াতে এবং অর্থ বণ্টনে ভারসাম্য নিশ্চিত করতে তহবিল কর্মীরা নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। এ তহবিল অনুমোদিত হলে দেশগুলোর অর্থনীতিতে নগদ অর্থপ্রবাহ বেড়ে যাবে। কভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম এবং অন্যান্য জরুরি ব্যবস্থা সমর্থনসহ সদস্য দেশগুলোর মহামারী মোকাবেলায় এ অর্থ দেয়া হবে।
এবার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন এ পদক্ষেপের সমর্থন দিয়েছেন। গত বছর ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ পদক্ষেপের বিরোধিতা করা হয়েছিল। সেই পদক্ষেপ আটকে দিয়ে ইয়েলেনের পূর্বসূরি স্টিভেন মানিউচন বলেছিলেন, আইএমএফের ১৯০ সদস্য দেশে কোটার অনুপাতে রিজার্ভ বরাদ্দ করা হয়েছে। এ অর্থের ৭০ শতাংশ শীর্ষ ২০ অর্থনীতির জোট জি২০-ভুক্ত দেশগুলোয় যাবে। আর এ সহায়তার মাত্র ৩ শতাংশ যাবে দরিদ্রতম উন্নয়নশীল দেশগুলোয়।