এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর খুচরা বাজারে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। চালের এমন দাম বাড়ার কারণে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে।
সরকারি হিসাবে, চালের উৎপাদন যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে আমদানির পরিমাণও। আবার চাল উৎপাদন নিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যেও রয়েছে গরমিল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, উৎপাদন ও চাহিদার পরিসংখ্যান বিভ্রান্তির কারণেই চাল নিয়ে চলছে চালবাজি।
এদিকে, এক বছরে পাইকারিতে প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে ৯ টাকা। যা খুচরায় কেজিতে ১১ টাকা। চলতি মাসের ২ তারিখ, মিলারদের কাছ থেকে ৬৯ টাকা কেজিতে নাজিরশাইল চাল কিনেছেন কারওয়ান বাজারের পাইকাররা।
তারা বলছেন, ২০২১ সালের জুনে ৬০ টাকা দরে এই চাল কিনেছিলেন। পাইকারীতেই চালের দাম কেজিতে ৯ টাকা বেড়েছে। আর খরচ ও মুনাফাসহ এক বছরে খুচরায় তা কেজিতে ১১ টাকার বেশি বেড়েছে। এক বছরে কেজিতে মিনিকেট চালের দামও বেড়েছে ১০ টাকার বেশি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে ৩ কোটি ৮৭ লাখ টন চাল উৎপাদন হয়েছে। যদিও পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, ওই বছর চালের উৎপাদন ছিল ৩ কোটি ৭৬ লাখ টন।
এদিকে, শুক্রবার সকালে রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরবরাহ সংকটে বাজারে পাওয়া যাচ্ছেনা পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল। এছাড়াও, নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এক দুই লিটারের সয়াবিন তেল।
বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে সঠিক তদারকির অভাবে কম সরবরাহ করে বেশি নিচ্ছে কোম্পানিগুলো।
একাত্তর/ এনএ