ভোজ্যতেলের দাম বেশি রাখায় রাজধানীর মৌলভীবাজারের চার পাইকারী ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ভোজ্যতেলের দাম বেশি রাখা এবং মূল্য তালিকা না থাকায় ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়।
এনিয়ে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মিলার পর্যায়ে ভোজ্যতেল মজুত রাখার কারণেই খুচরা বাজারে প্রভাব পড়ছে। মিলারদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা চেয়েছেন তারা।
রাজধানীর ভোজ্যতেলের সবচেয়ে বড় পাইকারী বাজার মৌলভীবাজার। এখানকার ব্যবসায়ীরা মিলারদের কাছ ভোজ্যতেল নিয়ে সারাদেশে সরবরাহ করেন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযোগ, এই বাজারের ব্যবসায়ীরা তেল মজুত রেখে, ইচ্ছাকৃতভাবে দাম বাড়িয়ে সয়াবিন তেল বিক্রি করছে।
এমন অভিযোগে রোববার সকালে মৌলভীবাজারের মুসলিম স্টোরে তদারকিতে যান কর্মকর্তারা। কাগজপত্রে প্রমাণও মেলে বেশি দাম রাখার। এজন্য ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিপ্তরের পরিচালক মনজুর শাহরিয়ার। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল, ফাহমিনা আকতার, মাসুদুর রহমান।
সেখানকার জব্বার স্টোর, বিসমিল্লাহ স্টোর ও ঢাকা ট্রেডার্সেও একই অভিযোগ পায় ভ্রাম্যমান আদালত। অভিযোগ ছিল মূল্য তালিকা না থাকারও। পরে, তাদের ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়।
অভিযান শেষে ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবাসায়ী মালিক সমিতির সাথে আলোচনা করে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর। কারসাজি বন্ধ করতে সহযোগিতার কথা জানান ব্যবসায়ীরা।
আর ভোক্তা আধিকারের মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, বাজারের সরবরাহ যেন ঠিক থাকে এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যে তেল বিক্রি হয় সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ৮ তারিখ বৈঠক হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন মিল মালিকদের কাছে গত তিন মাসের তথ্য চাওয়া হয়েছে।
নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে কারসাজি ঠেকাতে এ অভিযান চলবে বলে জানায়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।