অন্যান্য পণ্য কিনলেই কেনা যাবে সয়াবিন তেল। তাইতো ভ্যাট প্রত্যাহারের পর সয়াবিন তেল কিনতে গিয়ে নতুন বিপত্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
এমন অভিযোগ মোহাম্মদপুরের টাউন হল মার্কেটের ক্রেতাদের। বিক্রেতাদের দাবি নির্দিষ্ট ব্রান্ডের অন্যান্য পণ্য না কিনলে তারাও পাচ্ছেন না তেলের বোতল।
এদিকে, সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে চাল, পেঁয়াজ ও ডালের দাম। এই পরিস্থিতিতে অবস্থায় আয়ের তুলনায় ব্যয়ের পরিমাণ বাড়াতে পরিবারগুলোতে তৈরি হয়েছে বাজার ভীতি।
সাপ্তাহিক ছুটির প্রথম দিন, শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউন হলের বাজার। সেখানে গিয়ে দেখা গেলো ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে তুমুল বাকবিতন্ডা চলছে সয়াবিন তেল কেনা নিয়ে।
অন্য পণ্যে না কিনলে পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি করবে না দোকানি। তার দাবি, তারা এই শর্তেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তেলের বোতল পেয়েছেন।
একই কথা স্বীকার করলেন পাশের আরেক বিক্রেতাও। তেল কোম্পানিরই অন্যান্য পণ্য কেনার শর্তে বিক্রি করা হচ্ছে পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেল।
এই পরিস্থিতেতে কোম্পানি পর্যায় তেলের উপর ১৫ শতাংশ ও ভোক্তা পর্যায় পাঁচ শতাংশ ভ্যাট কমানোর ঘোষণার কোন প্রভাব ছিল না রাজধানীর বাজারগুলোতে।
সেই সঙ্গে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে মসুর ডাল ও চিনির দাম। একই অবস্থা চালের বাজারে, সপ্তাহ ব্যবধানে বিভিন্ন ধরনের চালে কেজি প্রতি দাম বেড়েছে দুই টাকা পর্যন্ত।
বেড়েছে পেঁয়াজ ও আমদানি করা রশুনের দামও। বিক্রেতা জানান, বাজারে পেঁয়াজের আমদানি ও উৎপাদন কম থাকায়ও দাম বেড়েছে।
বাজারে চায়না রসুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৬০ টাকা। চায়না আদার দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।
বাজারে বাড়তি দাম সব ধরনের মাছেরও। বেড়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়। সোনালি মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা।
গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২৮০ টাকা কেজি ধরে। বেড়েছে লেয়ার মুরগির দাম। কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২৩০ টাকা কেজি।
সপ্তাহ ব্যবধানে করলা উচ্ছাসহ কয়েকটি সবজির দাম বাড়লেও কমেছে বেশিরভাগ সবজির দাম। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু ও খাসির মাংস।