সরকারের নজরদারি আর জরিমানাতেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না নিত্যপণ্যের বাজার।
আর তাই নিম্নবিত্ত মানুষের লাইনটা ক্রমেই লম্বা হচ্ছে টিসিবির ট্রাকের সামনে।
সেখানেও পণ্যের তুলনায় গ্রহীতার সংখ্যা দ্বিগুণ। মুখ ঢেকে মধ্যবিত্ত অনেক মানুষকেও এখন লাইন ধরতে হচ্ছে টিসিবির ট্রাকে। সবার একটাই প্রশ্ন এর সমাধান কোথায়?
শারীরিক প্রতিবন্ধী হাসান মিয়া স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে থাকেন মিরপুরে। ব্যাটারিচালিত রিক্সা চালিয়ে মাসে যে আয়, তাতে এখন আর সংসার চলে না।
কিন্তু পেটের দায় তো বড় দায়। খাবার যোগাড় করতেই হয়। তাই টিসিবির ট্রাকের পাশে এভাবেই স্ত্রী সন্তানের খাবারের ব্যবস্থা করতে অপেক্ষা।
শনিবার সকাল থেকে মিরপুরে টিসিবি ট্রাকের সামনে লাইনে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকেও তিনি পণ্য কিনতে পারেননি। বাড়তি সময় নষ্ট না করে শুণ্য হাতেই কাজের পথ ধরেন তিনি।
সবার অবস্থাটা হাসানের মত নয়। দুই তিন ঘন্টা তীব্র রোদে দাঁড়িয়ে থেকে পণ্য পেয়েছেন অনেকে। তবে মানুষের তুলনায় টিসিবির এই ট্রাকে পণ্য আছে অর্ধেক। তাই ক্ষুব্ধ মানুষ।
তাদের দাবি, টিসিবি ট্রাকে পণ্যের দৈনিক মজুদ আরও বাড়ানো উচিৎ। কারণ, এখন টিসিবি পণ্যের জন্য গ্রহীতার সংখ্যা বেড়ে গেছে বহু গুণে।
আরও পড়ুন: করোনা: কমেছে মৃত্যু, শনাক্ত ও শনাক্তের হার
শুধু নিম্নবিত্ত নয় নিত্যপণ্যের অতি দামের আগুন মধ্যবিত্তকেও এই লাইনে এনে দাঁড় করিয়েছে। মুখ ঢেকে লাইনে দাঁড়ালেও জানেন না, পণ্য পাবেন কি না।
বাজারে সয়াবিন তেলের বেশি দাম, তাই টিসিবি থেকে নিয়ে অনেকেই বাইরে বিক্রি করেন বলে অভিযোগ আছে। আর তাই বোতলের মুখ খুলে এখন তেল দেয়া হচ্ছে।
এসব মানুষ জানেনই না তাদের এমন ভোগান্তিতে ফেলে এরইমধ্যে তেল ব্যবসায়ী চক্র হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছে। তাই মানুষের শুধু একটাই চাওয়া, সরকার এর লাগাম টেনে ধরুক।
একাত্তর/আরবিএস