ক্রেতার পকেট থেকে হাজার কোটি বেরিয়ে যাবার পর, অবশেষে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে ভোজ্যতেলের বাজারে। দু'দিনের ব্যবধানে পাঁচ লিটার তেলের দাম কমেছে ২০ টাকা পর্যন্ত।
সরকারের বেঁধে দেয়া ১৪৩ টাকার খোলা সয়াবিন ঢাকার মৌলভীবাজারে বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকায়। তবে খুচরো পর্যায়ে তেলের বাজার ঠিক হতে আরো কয়েক দিন লাগবে।
পাইকারি ও খুচরো ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোম্পানি ও ভোক্তা পর্যায় ভ্যাট কমানো এবং ভোক্তা অধিকারের অভিযানের পর স্বাভাবিক হচ্ছে।
বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট কিংবা তেল কিনতে হলে ওই কোম্পানির অন্য পণ্যও নিতে হবে এমন দাবি করা ডিলারদের হঠাৎ ভোল পাল্টে গেছে।
গেলো দুই দিন ধরে ঢাকার মৌলভীবাজারের পাইকারি আড়তগুলোতে উল্টো ডিলাররাই এখন দোকানে দোকানে ঘুরে তেল বিক্রি করছে।
শুধু তাই নয় পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলে বোতলের গায়ের দাম ৭৯৫ টাকা। যা পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছিলো ৭৯০ টাকা। বুধবার সেই বোতল বিক্রি হয়েছে ৭৭০ টাকায়।
পাইকারি পর্যায়ে সরকারের বেঁধে দেয়া দামের চেয়েও কমেছে খোলা সয়াবিনের দাম। ১৪৩ টাকা সরকার নির্ধারিত খোলা তেল বুধবার বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা।
বাজারে কমেছে পামওয়েলের দামও। মান ভেদে বুধবার পাইকারি আড়তে পাম তেল বিক্রি হয়েছে ১৩০ থেকে ১২৮ টাকায়।
তবে পাইকারি বাজারে তেলের দাম কমলেও খুচরা বাজারে এখনও এর কোন প্রভাব পড়েনি।
এদিকে গুদামে গুদামে ভোক্তা অধিকারের অভিযানের সমালোচনা করে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতি বলছে, একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ তেলের মজুদ না রাখলে ব্যবসা করা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: নিত্যপণ্যের দামে সংকটে সাধারণ মানুষ, কমছে বেচাকেনা
দেশে বছরে ভোজ্য তেলের চাহিদা ২০ লাখ টন। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী চলতি অর্থ বছরের জুলাই থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত সাড়ে আট মাসে দেশে ভোজ্যতেল আমদানি হয়েছে ২৪ লাখ ৪৬ হাজার ৪৭ টন।