জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় আর্থিক সংকটে থাকা মানুষের অনেকেই পাচ্ছেন না টিসিবির সুবিধা। কেউ প্রতিদিনই পাচ্ছেন, আবার কেউ না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন দিনের পর দিন।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, আইডি কার্ড কিম্বা রেশনের ব্যবস্থা করলে সমস্যার সমাধান সম্ভব। পাশাপাশি যুক্ত করতে হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও।
তীব্র রোদ উপেক্ষা করে লম্বা লাইনে দাঁড়ানো মানুষগুলোর অপেক্ষার যেন শেষ নেই। টিসিবির পণ্য পেতে প্রতিদিনই চার-পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। দেখভালের কেউ না থাকায় শিশু সন্তানদেরও নিয়ে আসেন অনেকে।
বুধবার (১৬ মার্চ) সরেজমিনে দেখা গেলো, পণ্য হাতে পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন ধরে অপেক্ষা করছেন ক্রেতারা। আবার সড়ক দিয়ে টিসিবির ট্রাক যেতে দেখলেই সেই ট্রাকের পেছন পেছন মানুষজনকে ছুটতে দেখা গেছে।
টিসিবির ট্রাকের পেছনে লম্বা লাইনে নেই শৃঙ্খলা। প্রতিদিন একই মানুষ হাজির হচ্ছেন পণ্য পেতে। এদের ভিড়ে পেছনে পড়ে যাচ্ছেন প্রকৃত ক্রেতারা।
পণ্য না নিয়েই ফিরে যেতে হয় তাদের। ভুক্তভোগীরা বলছেন, কিছু মানুষের অসততা কারণে মিলছে না ন্যায্যমূল্যের পণ্য।
দুই কেজি তেল, পেয়াজ, ডাল, চিনি একদিন আগে নেয়ার পরও আবারও কেন আসছেন জানতে চাইলে শেষ নেই অজুহাতের।
ক্রেতারা বলছেন, শুধু জেলা ভিত্তিক নয়, সারা সিটি কর্পোরেশনগুলোতেও কার্ডের ব্যবস্থা রাখা দরকার।
আরও পড়ুন: ভ্যাট ছাড় ও অভিযানে স্বস্তি ফিরছে তেলের বাজারে
এক ট্রাকে প্রতি দিন ২৫০ মানুষের পণ্য দেয় টিসিবি। সেই হিসাবে দিনে রাজধানীর দুই সিটিতে ২৭ হাজার ৫০০ মানুষ পণ্য পান।
আর, টিসিবির ট্রাক থেকে একজন সর্বোচ্চ দুই কেজি করে ডাল ও চিনি, পাঁচ কেজি পেঁয়াজ এবং দুই লিটার তেল নিতে পারছেন।
ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন মিলিয়ে ১৩৬ স্পটে টিসিবি ট্রাকে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এরমধ্যে উত্তরের ৫৪টি ওয়ার্ডের ৫৯টি এবং দক্ষিণের ৭৫টি ওয়ার্ডের ৭৭টি পণ্য বিক্রি করছে টিসিবি।
একাত্তর/এসজে