বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ ও বাণিজ্য করতে চায় যুক্তরাজ্য। তবে এজন্য বিনিয়োগ
সহায়ক কাঠামো, সুশাসন এবং মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন জরুরি বলে জানিয়েছেন, ব্রিটিশ
প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্যবিষয়ক বিশেষ দূত রুশনারা আলী এমপি। তিনি আরও জানান, খুব শিগগরিই
যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হচ্ছে না।
আমদানি-রপ্তানি সম্প্রসারণে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি পিটিএ ও মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির এফটিএ উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ।
তালিকায় আছে যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, বাহরাইনসহ ইসলামিক দেশগুলো। তবে বিশেষ গুরুত্বে আছে যুক্তরাজ্য।
সোমবার বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন রুশনারা আলী।
পরে প্রেস ব্রিফিংয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত বলেন, সুশাসনের অভাব বাংলাদেশে বিনিয়োগের বাধা। এটা সব সময়ই ছিল। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে ব্রিটিশ উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে আগ্রহী। এজন্য তারা বিনিয়োগ-সহায়ক পরিবেশ চায়।
রুশনারা আলী বলেন, যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ সম্পর্ক একটি সুদৃঢ় অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে। এক্ষেত্রে দুদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিকাশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার অনেক ক্ষেত্র আছে।
আমরা এই সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। ব্রিটিশ সরকারের দূত বলেন, বাংলাদেশে অনেক ব্রিটিশ কোম্পানি রয়েছে। এরমধ্যে অনেকেই বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা আরও বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
তার মতে, করোনায় যুক্তরাজ্যের মতো বাংলাদেশও অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে দ্রুত বাংলাদেশের অর্থনীতি তার স্বাভাবিক ধারায় ফিরে আসছে। সার্বিক পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। ভবিষ্যতে ব্যবসা পরিচালনা করতে ইচ্ছুক ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিতের আহ্বান জানান রুশনারা আলী।
রুশনারা আলী এমপি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে অনেক বৃটিশ কোম্পানি রয়েছে। আরও অনেক বৃটিশ কোম্পানি বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বিডার বৈঠক শেষে সালমান এফ রহমান বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগকারীদের
অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে কাজ করছে। আমরা ইতিমধ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের
মাধ্যমে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার চালু করেছি। আমরা ডিজিটাল অনলাইন পরিষেবাও প্রদান
করছি। পরিবেশ ধীরে ধীরে উন্নত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা জানান, হযরত শাহজালাল
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক মানের পরিষেবা নিশ্চিত করার জন্য আমরা তৃতীয় টার্মিনাল
নির্মাণ করছি। টার্মিনালটির নির্মাণকাজ আগামী বছরের মধ্যে শেষ হবে।
একাত্তর/এসএ