গত কয়েকটি বাজেটে পদ্মা সেতুর জন্য অর্থ বরাদ্দ ছিল। এবার মূল সেতুর জন্য টাকা রাখতে হচ্ছে না, কারণ আর মাত্র ১৬ দিন পরেই চালু হচ্ছে স্বপ্নের সেতু। তবে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর জন্য বরাদ্দ থাকছে। আগামী অর্থবছরের এডিপিতে শীর্ষ ১০টি প্রকল্পে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫৮ হাজার কোটি টাকা, যা সোয়া ২ লাখ কোটি টাকার এডিপির ২৩ শতাংশ।
আগামী একবছরের অবকাঠামো-শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ দেশের উন্নয়নে সরকার যে টাকা খরচ করবে-তাই উন্নয়ন বাজেট বা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি এডিপি।
চলতি অর্থবছরের চেয়ে ২০ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা বেশি ধরে আগামী ২০২-২৩ অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেট ২ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন হয়ে গেছে এরই মধ্যে। শীর্ষ বরাদ্দ পাওয়া ১০ প্রকল্পের মধ্যে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচীতে দেয়া হয়েছে ৮ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। মাতারবাড়ি ২৬০০ মেগা ওয়াট কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সাড়ে ৬ হাজার কোটি এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণে থাকছে ৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)'র অর্থনীতিবিদ তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, যেই প্রকল্পগুলো অনেকখানি এগিয়ে গেছে বা একদম শেষের দিকে আছে, সেই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সরকারের অধিকতর মনোযোগ দেয়া উচিৎ। মেগা প্রকল্প বা বড় প্রকল্প বললেই আমরা সাধারণত অবকাঠামো সম্পর্কিত প্রকল্প বুঝি। কিন্তু আমাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো খাতগুলোতেও খাত ভিত্তিক বড় প্রকল্প আছে।
জানা গেছে, নতুন এডিপিতে সরকার দেবে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। আর উন্নয়ন সহযোগীরা ঋণ দেবে ৮৮ হাজার ২৪ কোটি টাকা।
এ প্রসঙ্গে তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, আমরা যদি বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পগুলোর ভালো বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে সেই পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রাও কিন্তু আমাদের দেশে আসবে। তখন রেমিটেন্স বা রপ্তানির মতো বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের আরও একটি উৎস আমরা পাবো।
এমন শীর্ষ বরাদ্দের প্রকল্পের মধ্যে আর আছে করোনা পরবর্তী আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি উন্নয়ন প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটড এক্সপ্রেসওয়ে, ডিপিডিসির নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ এবং ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-৬)।
একাত্তর/জো