টাইলসসহ সিরামিক সামগ্রী বিলাসী পণ্য নয়। কিন্তু তারপরও হাজার হাজার ডলার খরচ করে দেশে আমদানি হচ্ছে পণ্যগুলো। টাইলস, টেবিলওয়ারসহ আন্তর্জাতিক মানের সব ধরণের সিরামিক পণ্য তৈরি করছে দেশের ৭০টি কোম্পানি। অথচ তারপরও বছরে অন্তত এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা বা ১৪ কোটি ডলারের টাইলস আমদানি হচ্ছে দেশে।
এদিকে ডলার তথা বৈদেশিক মুদ্রার সঙ্কট মোকাবেলায় বাংলাদেশ ব্যাংক বিদেশি ফুল, ফলসহ বেশ কিছু বিলাসী পণ্য আমদানী নিরুৎসাহিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু বিলাসবহুল ও জাঁকজমকপূর্ণ টাইলস আমদানিতে বিদেশে চলে যাচ্ছে বিশাল অংকের ডলার।
বাংলাদেশ সিরামিক উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিসিএমইএ) সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বলেন, সিরামিক অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে চীন, ভারত, ইতালি, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ৭১২ কোটি টাকার টাইলস ও প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি টাকার সিরামিক স্যানিটারিওয়্যার আমদানি হয়েছে। গেলো অর্থবছরেই টেবিলওয়্যারসহ মোট এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা বা ১৪ কোটি ডলারের সিরামিক পণ্য আমদানি হয়েছে।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ইরফান উদ্দিন বলেন, সিরামিক আমদানি বন্ধ হলে সেটি ডলারের মজুদ বাড়াতে যেমন সহায়ক হবে, তেমনি দেশীয় শিল্পেরও উন্নতি হবে। অথচ এবারের বাজেটে সিরামিকের টেবিলওয়্যার আমদানি উৎসাহিত করতে ন্যূনতম ভিত্তিমূল্য তুলে দিয়েছে এনবিআর। অথচ গুণগত মানে উন্নত হওয়ায় দেশের সিরামিক পণ্য ইউরোপসহ বিশ্বের ৫০টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: 'বাংলাদেশ কেন শ্রীলঙ্কার মতো সংকটে পড়বে না'
বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয়সহ দেশীয় শিল্প বিকাশের স্বার্থে এখনই সিরামিক পণ্য আমদানি বন্ধের আহবান জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
একাত্তর/এসি