বেশ কিছু সংশোধনীসহ নতুন অর্থবছরের (২০২৩-২৪) বাজেট পাশ হয়েছে। সোমবার সংসদে কণ্ঠভোটে পাশ হয় বাজেট। রাষ্ট্রপতির সম্মতি সাপেক্ষে নির্দিষ্টকরণ আইন গেজেট আকারে প্রকাশিত হওয়ার পর আগামী পহেলা জুলাই থেকে এ বাজেট কার্যকর হবে।
বাজেট প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করার দিনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাঁটাই প্রস্তাবে অংশ নিয়ে, বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগে বাণিজ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেন বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা।
গত পহেলা জুন সংসদে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখ’ শিরোনামের এ বাজেট নিয়ে সংসদে দীর্ঘ আলোচনা হয়। এরিমধ্যে অর্থবিল পাসের মাধ্যমে প্রস্তাবিত বাজেটে কর কাঠামো পরিবর্তনে অনুমোদন দিয়েছে সংসদ।
তাই সোমবার সকালে অধিবেশন শুরু হয় বিভিন্ন খাতে মঞ্জুরি ও বরাদ্দের দাবি দিয়ে। একে একে সরকারের ৫৯টি দপ্তর ও বিভাগের জন্য, নতুন অর্থবছরে কত টাকা দরকার, সেই দাবি তুলে ধরেন মন্ত্রীরা।
মঞ্জুরি ও বরাদ্দ দাবির ওপর ৫০২টি ছাঁটাই প্রস্তাব আসে। যদিও তার সবগুলোই সংসদে কণ্ঠ ভোটের মাধ্যমে নাকচ হয়ে যায় । এর মাঝেই নিজেদের মন্ত্রণালয় নিয়ে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের সমালোচনার মুখে পড়েন মন্ত্রীরা। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগে তোপের মুখে পড়েন বাণিজ্যমন্ত্রী।
এমন সব সমালোচনার জবাবও দেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা। এরপরই নতুন অর্থবছরে, সরকারের টাকা খরচের অনুমোদন চেয়ে, সংসদে নির্দিষ্টকরণ আইন ২০২৩ তোলেন অর্থমন্ত্রী।
কন্ঠভোটে সবার সম্মতিতে এই আইন অনুমোদনের সাথে সাথে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য পাস হয়ে যায় ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট। যেখানে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে, ৫ লাখ কোটি টাকা। সেই হিসেবে ঘাটতি থাকছে, ২ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকার মতো।
একাত্তর/আরবি