প্রায় ছয় মাস পর নতুন করে ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করতে যাচ্ছে সরকার। আগামী মঙ্গলবার মূল্য নির্ধারণে জাতীয় টাস্কফোর্সের বৈঠকে নতুন দাম ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।
সাধারণত বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অনুমতি দেওয়ার পরই ভোজ্যতেল প্রস্তুত ও বিতরণ কোম্পানিগুলো দাম বাড়ানো বা কমানোর ঘোষণা দিয়ে থাকে।
এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ৫ টাকা কমিয়ে ১৬৯ টাকা করা হয়।
এদিকে সরকারের ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, রোববার দেশের বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত ভোজ্যতেল বিক্রি হয়েছে ১৭০ থেকে ১৭৩ টাকায়। এক বছর আগের এই দাম ছিলো ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা। অর্থাৎ ছয় শতাংশ কমেছে।
তবে গত মাসে কোনো ঘোষণা না দিয়েই ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। তখন প্রতি লিটারে বাড়ানো হয় চার টাকা।
এদিন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, চিনি, খেজুরসহ রমজানের অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
রমজানের এক সপ্তাহ আগেই এসব পণ্যের মূল্যে প্রভাব পড়বে অর্থাৎ দাম কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন টিটু।
এদিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ ও চিনি ’আসবে বলেই’ মনে করছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। বলেন, ২০ হাজার টন পেঁয়াজ ও ৫০ হাজার টন চিনি আমরা পাবো বলে ভারতের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত হয়েছি।
তবে বাংলাদেশ ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ ও এক লাখ টন চিনি ভারত থেকে আমদানি করতে চায় বলেও জানান তিনি।