সেকশন

রোববার, ২৫ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
 

সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান, উত্তোলনে আন্তর্জাতিক দরপত্র 

আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৪, ০৪:১৮ পিএম

শতভাগ মুনাফা ফিরিয়ে নেওয়ার সুবিধা, যে কোনো ধরনের স্বাক্ষর বোনাস বা সত্ত্ব মূল্য তুলে দেওয়া এবং আকর্ষণীয় মূল্য নির্ধারণ করে দীর্ঘদিন পর গভীর ও অগভীর সমুদ্রে ২৪টি ব্লকে তেল, গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছে সরকার।

রোববার বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন পেট্রোবাংলার ওয়েবসাইটে এ দরপত্র প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞাপন।

অগভীর সমুদ্রের ব্লকগুলোতে রাষ্ট্রায়ত্ত বাপেক্সকে বাধ্যতামূলকভাবে বিদেশি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে নিতে হবে এবং ১০ শতাংশ অংশীদারিত্ব দিতে হবে বলেও দরপত্রে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে।

আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোকে দরপত্র জমা দিতে সময় দেওয়া হয়েছে ছয় মাস। অর্থাৎ আগামী নয় সেপ্টেম্বরের মধ্যে আগ্রহীদের ‘বাংলাদেশ অফশোর বিডিং রাউন্ড ২০২৪’ এ অংশ নিতে হবে। এরপর যাচাই করে কাজ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

বাংলাদেশের সমুদ্র থেকে তেল, গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য সর্বশেষ দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিলো ২০১৬ সালে। কিন্তু সরকারের প্রস্তাব আকর্ষণীয় না হওয়া তখন তেমন একটা সাড়া মেলেনি।

এরপর ২০১৯ উৎপাদন অংশীদারি চুক্তিতে (পিএসসি) ব্যাপক পরিবর্তন আনে সরকার। আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোকে আকৃষ্ট করতে সেখানে যুক্ত করা হয় আকর্ষণীয় সব প্রস্তাব।

কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারিসহ নানা কারণে নতুন পিএসপি প্রণয়ণের চার বছর পর সাগরের তেল, গ্যাস উত্তোলন, অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক দরপত্র ডাকা হলো। গত জুলাইয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয় নতুন পিএসসির। ২০১৯ সালের পিএসসিতে গভীর সমুদ্রে প্রতি হাজার ঘনফুট ৭ দশমিক ২৫ ডলার এবং অগভীর সমুদ্রে ৫ দশমিক ৫ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছিলো। আর এবার গ্যাসের দাম হবে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দামের ১০ শতাংশ; যা আন্তর্জাতিক বাজারের দরের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হবে। 

পেট্রোবাংলার এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, মডেল পিএসসিকে আগের থেকে অনেক আকর্ষণীয় ও বিনিয়োগবান্ধব করায় অনেক আসার আগ্রহ দেখাবে।

আর এবারের দরপত্রে অংশ নিতে বিশ্বের বড় বড় তেল, গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন কোম্পানিগুলো ইতিমধ্যে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং ৫৫টি কোম্পানিকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে বলে পেট্রোবাংলা থেকে বলা হয়েছে।

সংগৃহীত ইমেজ।

বাংলাদেশ অফশোর বিডিং রাউন্ড ২০২৪-এ অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর জন্য বেশকিছু শর্ত বেধে দিয়েছে পেট্রোবাংলা।

এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে- দরপত্রে অংশ নিতে হলে কোনো কোম্পানির (জয়েন্ট ভেঞ্চার হলে তাদের অন্তত একটি কোম্পানির) সাগর থেকে প্রতিদিন ১৫ ব্যারেল তেল অথবা ১৬ কোটি ঘনফুট গ্যাস উৎপাদনের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। প্রত্যেক কোম্পানিকে নিজ দেশের বাইরে অন্তত একটি দেশে সাগরে তেল, গ্যাস উত্তোলন ও অনুসন্ধানের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বাংলাদেশের সমুদ্রে মোট গ্যাস ব্লককে ২৬ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে অগভীর সমুদ্রের ১১ ব্লকে ও গভীর সমুদ্রে ১৫টি।

অগভীর সমুদ্রে দুটি ব্লকে ইতোমধ্যে তেল গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের কাজ করছে ভারতে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি ওএনজিসি। আর ওই দুটি ব্লক বাকি রেখে অগভীরে নয়টি ও গভীরের ১১টি ব্লকে দরপত্র ডাকা হয়েছে। অগভীরে এসএস-৪ ও ৯ বাদে ১ থেকে ১১টি। আর গভীর সমুদ্রে ডিএস-৮ থেকে ২২ পর্যন্ত।

২০১২ সালে মিয়ানমার ও ২০১৪ সালে ভারতের সাথে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির পর সাগরে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের মালিকানা। এরপর সাগরের প্রাকৃতিক সম্পদ উত্তোলনের বিষয়ে উদ্যোগী হয় সরকার।

অবশ্য সমুদ্রসীমা নিয়ে আন্তর্জাতিক বিরোধ মেটার আগেই সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক দরপত্র ডাকা হয়। গভীর সমুদ্রের দুটি ব্লকে অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য ২০১০ ঠিকাদারি দেয়া হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কনোকো ফিলিপস।

কোম্পানিটি দ্বিমাত্রিক জরিপ চালিয়ে মিয়ানমারের সীমানা ঘেঁষা ওই দুই ব্লকে বিপুল গ্যাসের সন্ধান পায়। কিন্তু কনোকো ফিলিসপের গ্যাসের দাম বাড়ানোর দাবি জানায়। সরকার তাতে রাজি না হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে সরে যায় তারা। একইভাবে চুক্তির পর তেল, গ্যাস উত্তোলন না করেই চলে যায় অস্ট্রেলিয়ার স্যান্টোস ও দক্ষিণ কোরিয়ার পস্কো দাইয়ু।

এরপর গত বছর বাংলাদেশের সমুদ্রে তেল, গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের আকর্ষণীয় প্রস্তাব দেয় প্রভাবশালী মার্কিন কোম্পানি এক্সনমবিল। সাগরে তেল, গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে এক্সনমবিলকে ‘গেইম চেঞ্জার’ হিসেবে দেখা হয়।  

তারা বঙ্গোপসাগরে তেল গ্যাস অনুসন্ধানে প্রায় সোয়া তিন লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগে আগ্রহী বলে গত বছরের জুলাই মাসে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের ভূমি (অনশোর) থেকে সবচেয়ে বেশি গ্যাস উত্তোলনকারী আরেক মার্কিন শেভরন। আর বঙ্গোপসাগরের তেল, গ্যাসে নজর রয়েছে বিভিন্ন দেশেনর আরো কিছু বিদেশি কোম্পানির। 

আরবি
প্রতি কেজি তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) গ্যাসের দাম ৩৭ পয়সা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এতে এলপি গ্যাসের দাম প্রতি কেজি ১২১ টাকা ১৯ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১২১ টাকা ৫৬ পয়সা...
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল) হরিপুর এলাকার ৭ নাম্বার গ্যাসকূপ সংস্কার করতে গিয়ে নতুন করে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে।
আবারও বাড়লো বোতলজাত এলপি গ্যাসের দাম। চলতি মাসের জন্য ১২ কেজি বোতলের গ্যাসটি ৩৫ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার ৪৫৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বুধবার গ্যাসের নতুন এই দামের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি...
প্রায় আট বছর পর গভীর ও অগভীর সমুদ্রের ২৪টি ব্লকে তেল, গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে সরকার যে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছে, তাতে বিশ্বের বড় বড় কোম্পানি অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও...
বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথাই আবার তুলে ধরেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শেখ হাসিনার আমলে হওয়া সকল নির্বাচনকে আইনগতভাবে অবৈধ ঘোষণার জন্যে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে চলতি বছরের সিপিএল গ্লোবাল এক্সিলেন্স লিডারশিপ পুরস্কার তুলে দেয়া হয়েছে।
সংস্কারের রূপরেখা ও নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
লোডিং...
সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর


© ২০২৫ প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত