গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় খলিল, নয়ন ও উজ্জ্বলের পক্ষে কম দামে আর মাংস বিক্রি করা আর সম্ভব না বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এএইচএম সফিকুজ্জামান।
রোববার ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের ব্যক্তি পর্যায়ে সাশ্রয়ী মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরে বক্তব্য দেন মাংস ব্যবসায়ী খলিল, নয়ন ও উজ্জ্বল। তারা দাবি বাজারে গরুর দাম বাড়তি।
খলিলুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ২০ রোজা পর্যন্ত সকাল সাতটা থেকে তিনটা পর্যন্ত ৫৯৫ টাকা কেজিতেই মাংস বিক্রি করবেন তিনি।
উজ্জ্বল বলেন, তিনি ৫৯৫ করে বিক্রি করলেও এখন থেকে ৬৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি করবের।
আর নয়ন জানান, তিনি গরুর বিভিন্ন অংশের মিশ্রিত মাংস ৬০০ আর ঝুলন্ত মাংস ৬৫৯ টাকা কেজিতে বিক্রি করবেন।
তবে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, মাংস মিশ্রিত হবে না হাড্ডি-চর্বি মেশানো থাকবে তা ব্যবসায়ীদের বিষয়।
নানা সীমাবদ্ধতা থাকলেও রমজানে দাম যেনো নাগালের মধ্যে থাকে, ভোক্তা অধিদপ্তর সেই চেষ্টায় করছে বলে জানান তিনি।
অস্থির মাংসের বাজারে রমজান শুরুর আগ থেকেই ৫৮৫ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি করে আলোচনায় আসেন খলিল।
রোজার প্রথম দিন থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৯৫ টাকায় বিক্রির ঘোষণা দেন তিনি। এতে তার দোকান ‘খলিল গোস্ত বিতানে’ ক্রেতাদের ঢল নামে।
তবে ১০ রোজা না যেতেই প্রতি কেজি মাংসের দাম ১০০ টাকা বাড়িয়ে দেন এই ব্যবসায়ী। খলিল জানান, প্রান্তিক পর্যায়ে গরুর দাম বাড়ায়, মাংসের দাম কেজিতে একশ’ টাকা বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন।