প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ এবং পর্যটন নির্ভর প্রতিবেশী দেশ ভুটানে, শিল্পায়ন তুলনামূলক কম। চাহিদার বেশিরভাগ পণ্যের জোগান হয় আমদানি থেকে। তবুও সম্ভাবনাময় বাজারটি থেকে বাংলাদেশের আমদানি বেশি, রপ্তানি কম।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভুটানে পণ্য রপ্তানি করতে হয় ভারত হয়ে, যা একটি বড় সমস্যা। সেই সাথে আছে পণ্যের নিবন্ধন ও ভিসা জটিলতা।
হিমালয়ের পাদদেশে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি ভুটান। প্রাকৃতিক সম্পদেও পরিপূর্ণ এই দেশ। তবে ছোট এই দেশটিতে জনসংখ্যা খুবই কম। এর অর্থনীতি অনেকটাই নির্ভরশীল ফল উৎপাদন ও রপ্তানি আর পর্যটন শিল্পের ওপর।
সার্কভুক্ত দেশ ভুটানে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া পণ্যের সিংহভাগই প্রসাধনী এবং জুস বিস্কুট, স্ন্যাক্স ও কনফেকশনারি পণ্য। রপ্তানিকারকরা বলছেন ভুটানে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা অনেক তবে বিজনেস ভিসার জটিলতা ও পণ্য নিবন্ধনসহ অনেক বাধাও বিদ্যমান।
প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা জানান, ভুটানে খাদ্যপণ্য রপ্তানি করতে হলে প্রতিটা পণ্য আগে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। যা অনেক সময় সাপেক্ষ।
ভুটানে গেলো অর্থবছরে বাংলাদেশ রপ্তানি করে আয় ২ কোটি ২০ লাখ ডলারের পণ্য। বিপরীতে আমদানি হয় ৩ কোটি ৭০ লাখ ডলারের পণ্য। অর্থাৎ বাংলাদেশে দিকে বাণিজ্য ঘাটতি ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
আমদানি-রপ্তানি কার্গো সেবাদানকারী নভো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান বলছেন, ভারতে ট্রানজিট হয়ে ভুটানে বাংলাদেশ থেকে ইলেকট্রনিক্স ও ভারী পণ্য পরিবহনে এখনো অনেক বাধার স্বীকার হতে হয়।
তিনি বলেন, বড় বড় জিনিস আনার ট্রানজিট ভারত দেয় না। আমরা তা নিয়েও ভোগান্তিতে পড়ি।
সার্ক চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলছেন, ইইউ ও আসিয়ানসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক জোটের অন্তর্বাণিজ্যের তুলনায় সার্কের অন্তর্বাণিজ্য অনেক খুবই দুর্বল। বাংলাদেশ-ভুটানের বাণিজ্য এরই আরেকটি উদাহরণ মাত্র।
তবে তার মতে যোগাযোগ ও ট্রানজিট আরো সহজ হলে ভারতের অবকাঠামো ব্যবহার করে ভুটান থেকে স্বল্পমূল্যে বিদ্যুৎ আমদানি এবং বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানিসহ বাণিজ্য আরও অনেক বাড়ানো সম্ভব।