হঠাৎ করেই বেড়েছে চালের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের চিকন ও মোটা সব ধরনের চালের দাম কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে বলে জানিয়েছে সরকারের ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
এদিকে দেশের বড় চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরেও সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে। ধান সঙ্কটের কারণেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন মিলাররা।
নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস ভোক্তাদের। তার ওপর আবারো চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে তারা। তাই ক্রেতারা বলছেন, চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত তদারকি চালাতে হবে।
টিসিবির হিসাবে, এক সপ্তাহ আগে নাজির ও মিনিকেটের মতো সরু চালের কেজি ছিলো ৬২ থেকে ৭৫ টাকা। বুধবার তা বেড়ে হয়েছে ৬৫ থেকে ৭৬ টাকা।
৫২ থেকে ৫৬ টাকা কেজির পাইজাম ও লতা চাল বেড়ে হয়েছে ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা।
আর স্বর্ণা ও চায়না ইরির মতো মোটা চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা, যা সপ্তাহখানেক আগে ছিলো ৪৮ থেকে ৫২ টাকা।
দেশের অন্যতম বড় চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরে সরকারের বেঁধে দেয়া দামেই চাল বিক্রি হচ্ছিল। কিন্তু মাস খানেক যেতে না যেতেই চালের দাম বাড়ানো শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা।
খাজানগরের বড় কয়েকটি অটো রাইস মিলের মালিকদের হঠাৎ চালের দাম বৃদ্ধি কারণ জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত ধান পাওয়া যাচ্ছে না। যেটুকু পাওয়া যাচ্ছে, তাও কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। তাই চাল উৎপাদনের খরচও বেড়ে গেছে।
কুষ্টিয়ার বাজার তদারকি কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান বলেন, চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত মনিটরিং চালু আছে।
আর বাড়তি দামে চাল বিক্রি করায় এর আগেও কয়েকটি মিল মালিককে জরিমানা করা হয়েছে বলে মনে করিয়ে দেন তিনি।
বাজার মনিটরিং কর্মকর্তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছে, আগামীতে চালের দাম আরো বাড়তে পারে।
তাই এখনই বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।